facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

শেয়ারবাজারে তেজিভাব


০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার, ০৪:৪৮  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


শেয়ারবাজারে তেজিভাব

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর দেশের শেয়ারবাজারে তেজিভাব দেখা দিয়েছে। মূল্য সূচকের টানা উত্থানের পাশাপাশি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে লেনদেনের গতি।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন।

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের পর রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। হরতালের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে চলে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সিটি ভোটের পর প্রথম কার্যদিবসেই (রোববার) ডিএসই ও সিএসইতে মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বাড়ে লেনদেনের পরিমাণ।

সোমবারও (৩ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। শুরু থেকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় ডিএসইতে বাড়ে সবকটি মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে আট কার্যদিবস পর বাজারটিতে আবারও ৫০০ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেমন কোনো রাজনৈতিক সংঘাত ছাড়াই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন। এতে ভবিষ্যত নিয়ে কিছুটা হলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তাছাড়া সম্প্রতি সরকার শেয়ারবাজার গতিশীল করতে বেশ তৎপরতা চালিয়েছে। এরই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে।

এ বিষয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, যে যাই বলুক যেকোনো নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের আশঙ্কা থাকেই। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কি হয় তা নিয়েও এক ধরনের শঙ্কা ছিল। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন। এতে সামনে রাজনৈতিক সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না বলেই ধরে নেয়া যায়।


তিনি বলেন, সম্প্রতি শেয়ারবাজার ভালো করতে সরকারের ওপর মহলের নানা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। শেয়ারবাজারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ছাড় দেয়া হচ্ছে। সরকার শেয়ারবাজার ভালো করতে চায় এটা এখন সবার কাছে স্পষ্ট। এ পরস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হওয়া এবং সরকার দলের প্রার্থীরা জয়ী হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভালো শেয়ারবাজারের প্রত্যাশা আরও বেড়েছে।


বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৭টি প্রতিষ্ঠানের। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫০৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জা হোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার। ২০ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট পাওয়ার।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, গ্রামীণফোন, রিং সাইন টেক্সটাইল, এডিএন টেলিকম, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, এস এস স্টিল এবং বিবিএস কেবলস।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭১১ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৯টির, কমেছে ৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি প্রতিষ্ঠানের।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: