facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

শেয়ার বেচলো তিন কোম্পানির পরিচালক


২৩ মার্চ ২০১৯ শনিবার, ০২:৩৮  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


শেয়ার বেচলো তিন কোম্পানির পরিচালক

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি বঙ্গজ লিমিটেড, বস্ত্র খাতের কোম্পানি ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড ও আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের যথাক্রমে উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার বিক্রি, শেয়ার ক্রয় ও শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বঙ্গজ লিমিটেড: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী উদ্যোক্তা পরিচালক মো. রফিকুল হক কোম্পানিটির ধারণ করা মোট পাঁচ লাখ ৬১ হাজার ৯৭টি শেয়ার থেকে ২৫ হাজার শেয়ার বর্তমান বাজারদরে সাধারণ মার্কেটে বিক্রি সম্পন্ন করেছেন।

এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৬৮ শতাংশ বা আট টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৪৫ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৪৩ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ৫৪ হাজার ৯৩৮টি শেয়ার মোট ৭৯৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৩৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৪৫ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২১৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৩৭০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৩ টাকা সাত পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৫৯ লাখ টাকা।

কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন সাত কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট ৭২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৬টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ৩২ দশমিক ৩৪ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক পাঁচ দশমিক ৮৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৬১ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড: ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক মোহাম্মদ আলী খোকন পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানির ১০ লাখ শেয়ার বর্তমান বাজারদরে সাধারণ মার্কেটে কিনেছেন।

২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১১ কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর এক দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ছয় টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ছয় টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে দুই লাখ আট হাজার ৬৮৮টি শেয়ার মোট ১০৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৪ লাখ এক হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ছয় টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ১৯ টাকা ৫৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করছে সাত কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির মোট ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৯টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ২৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৬১ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার।

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মো. আজিমুল ইসলামের শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে। স্ত্রী
নাবিলা সালামকে ৩৯ লাখ শেয়ার উপহার হিসেবে দিয়েছেন তিনি।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৬৯ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭০ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ২৪ লাখ ১০ হাজার ১৩৯টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৩৫৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৭ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৬৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১১৯ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৮৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৩৯ পয়সা।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ ও ২৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে চার টাকা ৩৭ পয়সা ও এনএভি ২৪ টাকা ১৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। যা তার আগের বছর ছিল আট কোটি টাকা।
২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪১ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪২ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট চার কোটি ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: