facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

রিলেটেড পার্টি লেনদেনে নিয়ম মানছে না, খতিয়ে দেখবে বিএসইসি


১৮ মে ২০১৯ শনিবার, ০২:৫২  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


রিলেটেড পার্টি লেনদেনে নিয়ম মানছে না, খতিয়ে দেখবে বিএসইসি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে তার সিস্টার কনসার্ন বা অ্যাসোসিয়েট কোম্পানির ঋণ ও কাঁচামাল সরবরাহ এবং স্থায়ী সম্পদের ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে লেনদেন হয়। এ ধরনের লেনদেনের তথ্য কোম্পানিগুলো আর্থিক প্রতিবেদনে রিলেটেড পার্টি লেনদেন হিসেবে প্রকাশ করে। এমন লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এর জন্য পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) তালিকাভুক্ত সব কোম্পানি থেকে রিলেটেড পার্টি লেনদেনের তথ্য নিয়ে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে এ নির্দেশ দিয়ে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সিস্টার কনসার্ন বা অ্যাসোসিয়েট কোম্পানি বা কমন উদ্যোক্তা পরিচালক রয়েছে এমন কোম্পানির সঙ্গে ঋণ ও কাঁচামাল এবং স্থায়ী সম্পদ ক্রয়-বিক্রয়সংক্রান্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে আগে থেকেই বিএসইসির দুটি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু বেশকিছু কোম্পানি এ ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে কমিশনের নির্দেশনা মানছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিএসইসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে কমন পরিচালক রয়েছে এমন কোম্পানিকে ঋণ বা অ্যাডভান্স দেয়ার ক্ষেত্রে কমিশন ২০০৬ সালে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে মূল কোম্পানি অ্যাসোসিয়েট কোম্পানির যে পরিমাণ শেয়ার ধারণ করে কিংবা কোনো একজন কমন উদ্যোক্তা বা পরিচালক সম্মিলিতভাবে উভয় কোম্পানির যে পরিমাণ শেয়ার ধারণ করেন, তার মূল্যের ৫০ শতাংশের বেশি এক কোম্পানি আরেক কোম্পানিকে ঋণ দিতে পারে না বলে উল্লেখ রয়েছে। আর এ ধরনের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন লাগবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি যে বেশকিছু কোম্পানি এ নিয়ম মানছে না।

তিনি আরো বলেন, হয়তো তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির একজন পরিচালক, যার আরো কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির নামে নেয়া ঋণ প্রভাব খাটিয়ে কম সুদে তার কোম্পানিতে নিচ্ছেন। অথচ ঋণের খরচ তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি দিচ্ছে। এসব লেনদেনের ক্ষেত্রে এমন অনিয়ম হচ্ছে। অথচ অডিটররা তাদের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করছেন না।

কমিশন সূত্র জানায়, রিলেটেড পার্টির সঙ্গে কোম্পানির কাঁচামাল ও স্থায়ী সম্পদ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ২০০৯ সালে কমিশন সীমা আরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। নিয়ম অনুযায়ী অ্যাসোসিয়েট, সিস্টার কনসার্ন বা কমন পরিচালক রয়েছে এমন ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তার মোট স্থায়ী সম্পদের এক শতাংশের বেশি লেনদেন করতে পারবে না। আর এমন লেনদেনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ৩০ মিনিটের মধ্যে কমিশন ও স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাতে হবে। পাশাপাশি দুটি জাতীয় পত্রিকায় এ সিদ্ধান্তের তথ্য প্রকাশ করতে হবে।

বিএসইসির ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা তিনটি কোম্পানির কাছে রিলেটেড পার্টির লেনদেনের তথ্য চেয়েছি। তারা জবাবও দিয়েছে। তবে কমিশন তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। আমরা মনে করছি, অধিকাংশ কোম্পানিতে রিলেটেড পার্টি লেনদেনে সমস্যা রয়েছে। তাই স্টক এক্সচেঞ্জকে তথ্য সংগ্রহের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যেসব কোম্পানি গ্রুপের অধীনে রয়েছে, তাদের অধিকাংশই এ আইন মানছে না। তাদের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণ হলে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আর সংশ্লিষ্ট অডিটরের বিরুদ্ধেও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: