facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

রহিমা ফুডের শেয়ার লেনদেনের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ল


১৩ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার, ০৩:৩৫  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


রহিমা ফুডের শেয়ার লেনদেনের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ল

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে তালিকাচ্যুত কোম্পানি রহিমা ফুড করপোরেশনের শেয়ার লেনদেনের ওপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ ১৫ দিন বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে তাদের ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সময় চেয়ে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময়সীমা বাড়িয়েছে সিএসই। তবে যদি কোম্পানিটি এর ব্যবসায়িক পরিস্থিতি উন্নয়নে কোনো কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণে ব্যর্থ হয় তাহলে তালিকাচ্যুতির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এক্সচেঞ্জটির কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম ফারুক বলেন, আপত্কালীন ব্যবস্থা হিসেবে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে যদি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থার উন্নয়নে ব্যর্থ হয় তাহলে লিস্টিং রেগুলেশন অনুসারে তালিকাচ্যুতির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ১৮ জুলাই দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরও পরিচালনা কার্যক্রম চালুর কোনো সম্ভাবনা না থাকায় রহিমা ফুড করপোরেশন ও মডার্ন ডায়িং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিং লিমিটেডকে তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসইর পর্ষদ। অন্যদিকে দেশের আরেক শেয়ারবাজার সিএসই কোম্পানিটিকে তালিকাচ্যুতির বদলে এর লেনদেন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

লিস্টিং রেগুলেশন অনুসারে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ বছর ধরে লভ্যাংশ না দেয়া, টানা তিন বছর ধরে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, ঐচ্ছিকভাবে কোম্পানির অবসায়ন কিংবা টানা তিন বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকা, টানা তিন বছর ধরে লিস্টিং ফিসহ অন্যান্য ফি প্রদান না করা এবং লিস্টিং রেগুলেশন কিংবা অন্য যেকোনো সিকিউরিটিজ আইন পরিপালনে ব্যত্যয়ের কারণে কমিশন ও স্টক এক্সচেঞ্জ যেকোনো কোম্পানিকে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করতে পারবে।

একসময় ভেজিটেবল অয়েল উৎপাদন করলেও পরবর্তী সময়ে এ ব্যবসা বন্ধ করে দেয় চট্টগ্রামভিত্তিক কোম্পানি রহিমা ফুড করপোরেশন। ২০১৩ সালের পর থেকে টানা লোকসান করে যাওয়া কোম্পানিটির উদ্যোক্তা অংশের শেয়ার গত বছর স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী সিটি গ্রুপের কাছে বিক্রি হয়ে যায়। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভোজ্যতেলের পরিবর্তে নারকেল তেল উৎপাদনে কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেয় কোম্পানিটির পর্ষদ। অবশ্য এ বছরের এপ্রিলে কোম্পানিটির পর্ষদ নারকেল তেল উৎপাদনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে লেসিথিন উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও গত তিন বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকায় উন্নীত হয়।

প্রসঙ্গত, লিস্টিং রেগুলেশন পরিপালনে ব্যর্থতার কারণে গত বছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির ৩০ কোম্পানির একটি তালিকা পর্ষদের কাছে উপস্থাপন করে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১৫টি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এ তালিকায় রহিমা ফুড ও মডার্ন ডায়িং ছাড়াও আরো রয়েছে মেঘনা পিইটি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড, জিলবাংলা সুগার মিলস লিমিটেড, দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড, সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড, কে অ্যান্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেড, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ লিমিটেড, জুট স্পিনার্স লিমিটেড, বেক্সিমকো সিনথেটিকস লিমিটেড ও শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড। তবে লভ্যাংশ ঘোষণা করায় এ তালিকা থেকে কে অ্যান্ড কিউকে বাদ দেয়া হয়। সর্বশেষ এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর পর্ষদ মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, মেঘনা পিইটি, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ ও ইমাম বাটনকে মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত করে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে পাঠানোর সুপারিশ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠায়। তাছাড়া জেড ক্যাটাগরির আরো তিন কোম্পানি দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড, জুট স্পিনার্স লিমিটেড ও সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেডকে তালিকাচ্যুত করার বিষয়ে শুনানির সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসইর পর্ষদ। তবে এখন পর্যন্ত আলোচ্য সাত কোম্পানির তালিকাচ্যুতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: