facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪

Walton

রহিমা ফুডের শেয়ার কিনলো সিটি গ্রুপ


০৪ জুন ২০১৭ রবিবার, ১০:১৪  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


রহিমা ফুডের শেয়ার কিনলো সিটি গ্রুপ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রহিমা ফুড করপোরেশনের এক উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছ থেকে ৪০ লাখ ৪০ হাজার ৩৫৬টি শেয়ার কিনে নিয়েছেন সিটি গ্রুপের মালিক ফজলুর রহমান এবং তার স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে।

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রহিমা ফুডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত এমএ রউফ চৌধুরীর এক ছেলের কাছ থেকে এ শেয়ার কিনেছেন তারা। কোম্পানির প্রয়াত এ উদ্যোক্তা-পরিচালকের দুই ছেলের প্রত্যেকের কাছে উল্লিখিতসংখ্যক শেয়ার রয়েছে।

গত বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চারটি পৃথক ব্লক ট্রেডের মাধ্যমে এ সংখ্যক শেয়ার ১০৮ টাকা দরে মোট ৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকারও বেশি মূল্যে লেনদেন বা হস্তান্তর হয়। লেনদেনগুলো সম্পন্ন হয়েছে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউস হাসান সিকিউরিটিজে। গ্রুপের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা শেয়ার লেনদেনের এ তথ্য স্বীকার করেছেন।
 
গত বছরের ১৬ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকের ১০৬ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধের শর্তে কোম্পানিটির তিন উদ্যোক্তা-পরিচালক এবং পাঁচ সাবেক পরিচালকের মোট ১ কোটি ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭০টি শেয়ার সিটি গ্রুপের সিটি সুগার বা এর মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এসব শেয়ার রহিমা ফুডের মোট শেয়ারের প্রায় ৫৩ শতাংশ। সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ গত বছরের অক্টোবরে নিশ্চিত করেন, রহিমা ফুডের ঋণের অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঋণের ওই অর্থ পরিশোধ করেছে সিটি গ্রুপ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রহিমা ফুডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত এমএ রউফ চৌধুরীর স্ত্রী ও রহিমা ফুডের উদ্যোক্তা-পরিচালক রাফিয়া চৌধুরীর নামে এখনও রয়েছে ১৮ লাখ ৫৯ হাজার শেয়ার। এ শেয়ারও হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া কোম্পানির সাবেক পাঁচ পরিচালকের ৬ লাখ ৫৭ হাজার শেয়ারও হস্তান্তরের কথা রয়েছে। এমএ রউফ চৌধুরী ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ছিলেন।

আইন অনুযায়ী কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তরে ঘোষণা দিতে হয়। যা এ লেনদেনের ক্ষেত্রে হয়নি। বিএসইসির মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, এটা আইনের লঙ্ঘন। তিনি জানান, উল্লেখযোগ্য শেয়ার ক্রয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। রহিমা ফুডের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তরের অনুমতি নেওয়া বাধ্যবাধকতা আছে, যা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। ২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারি জারি করা এক নির্দেশনা অনুযায়ী `জেড` ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা বা পরিচালকরা অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে শেয়ার হস্তান্তর করার সুযোগ নেই। সিটি গ্রুপের এক কর্মকর্তা দাবি করেন, আইন-কানুন মেনেই শেয়ার হস্তান্তর হয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো থেকে এই শেয়ার লেনদেন বা হস্তান্তর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য প্রকাশ না হলেও গত বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দু`দিন সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে রহিমা ফুডের শেয়ার। ১০৬ টাকা থেকে ২১ শতাংশ বেড়ে শেয়ারটির সর্বশেষ ১২৮ টাকা ৪০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। উভয়দিন শেয়ারটির বিপুল ক্রয়ের আদেশের বিপরীতে লেনদেনের প্রায় পুরো সময়ে বিক্রেতা ছিল না।

সিটি গ্রুপের কাছে কোম্পানিটির মালিকানা হস্তান্তরের এক খবরে গত বছরের ৫ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে মাত্র ১১ কার্যদিবসে ৫০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯৫ টাকা ৫০ পয়সায় কেনাবেচা হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর শেয়ারটির দর সর্বোচ্চ ১৫৭ টাকায় ওঠে। গত ৩০ মে ১০৬ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল। অক্টোবরের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির ঘটনা বিএসইসির একটি তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে অনিয়ম ও আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পায়। সূত্র : সমকাল

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: