facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

যে সময়ে বিনিয়োগ করলে নিশ্চিত লোকসান


২৩ আগস্ট ২০১৭ বুধবার, ০৮:৪৭  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


যে সময়ে বিনিয়োগ করলে নিশ্চিত লোকসান

প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এনটিভি ‘মার্কেট ওয়াচ’ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে আয়োজন ‘এনটিভি মার্কেট ওয়াচ’ পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো:

প্রায় সাত বছর আগে পুঁজিবাজার স্ফীত হতে হতে বাবল সৃষ্টি করে। এরপরই ঘটে ২০১০ সালের বিস্ফোরণ। এরপর প্রায় ছয় বছর পুঁজিবাজার একেবারে অতলে নেমে গিয়েছিল। প্রায় সব সাধারণ বিনিয়োগকারী বড় ধরনের লোকসানে পড়ে বাজার ছেড়ে চলে যান। এখন আবার বাজার কিছুটা ভালো হওয়ায় তারা ফিরে আসছেন। কিন্তু তারা সব সময় একটি ভুল করেন। তারা বিনিয়োগের সঠিক সময় ধরতে পারেন না। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজার যখন ভালো থাকে, তখন শেয়ার সংগ্রহ করেন আর খারাপ সময় তারা বিক্রি করেন। এটা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ঠিক বিপরীত আচরণ। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচনায় আসে। মোশতাক সাদেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইপিএলের হেড অব পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট সৈয়দ আদনান হুদা ও পিএলএফএস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সিইও মো. আবদুল মুকতাদির, সিএফএ।

সৈয়দ আদনান হুদা বলেন, পুঁজিবাজারে উত্থান-পতন থাকবেই, এটি পৃথিবীর সব জায়গাতেই হয়। বাজার যখন অতিমূল্যায়িত হয়ে যায়, তখন একটি বড় সংশোধন হয়। বাংলাদেশে যেটি ২০১০ সালে হয়েছিল। আমেরিকাতেও আমার দেখেছি ২০০৮-০৯ সালের দিকে হয়েছিল। মোট কথা, বাজারে বাবল সৃষ্টি হলেই এর বিস্ফোরণ ঘটবে। আবার একবার বাবল হলেই যে আর হবে না এ ধারণাও ঠিক নয়। এটি একটি কালচক্র। একটি নির্দিষ্ট সময় পর আবার হয়তো বাজার বাবল হবে আর এটাই বাজারের নিয়ম। বর্তমান পিই অনুসারে আমার মনে হয় বাজার এখন অবমূল্যায়িত অবস্থায় আছে। কাজেই আমার মনে হয় বাজারে এখন বড় গেইন করার ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। তাছাড়া বাজারে আমরা যতটুকু সংশোধন দেখছি, তা খুবই স্বাভাবিক। ৩০০ পয়েন্টের মতো বাড়ার পর মাত্র ৫০ পয়েন্টের সংশোধন হওয়া খুবই সাধারণ। আমার ধারণা, বিনিয়োগকারীরা কিছুটা মুনাফা সংগ্রহ করেছেন। আর এ মুনাফা সংগ্রহটি ব্যাংক খাতে বেশি হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভালো কোম্পানির শেয়ার কিনে আপনারা কিছু সময় অপেক্ষা করুন। এতে ভালো প্রফিট পাবেন। অল্প সময়ে অধিক লাভের মনোভাব থেকে দূরে থাকুন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া গুজবে কান দিয়ে শেয়ার কেনাবেচা থেকে দূরে থাকুন। কোম্পানি যাচাই-বাছাই করে শেয়ার সংগ্রহ করুন। প্রফিট পাবেন।

মো. আবদুল মুকতাদির বলেন, আমাদের বাজারে একটি বাবল বিস্ফোরণের পর নতুন করে মাত্র বাড়তে শুরু করেছে। এখন বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করছেন এবং গত এক বছর ধরে বাজারে কিছু টাকা আসছে। এক সময় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ কম ছিল। গত দুবছরে আমরা বিনিয়োগ অনেক বাড়িয়েছি। আমাদের ধারণা এখান থেকে মোটামুটি পাঁচ-সাত বছর ভালো ব্যবসা করা যাবে। এক্ষেত্রে বাজার নিয়মিত বাড়বে না। কিছুটা বাড়বে, সংশোধন হবে, আবার বাড়বে। বাজারে একেকটি ইস্যু তৈরি হবে। যেমন সামনে ঈদ। ঈদের জন্য মানুষ কিছু টাকা বাজার থেকে তুলে নেবে। আর ঈদকে কেন্দ্র করে এক লাখ মানুষ যদি ৫০ হাজার করে টাকা করে তুলে নেয়, তাহলেই কিন্তু বাজার থেকে ৫০০ কোটি টাকা বেরিয়ে যাবে। সম্প্রতি বাজারে আমরা এ সংশোধনটাই দেখছি। এটিকে কোনোভাবেই পতন বলা যাবে না। তিনি বলেন, আমরা অনেকটা সাধারণ বিনিয়োগকারীর বিপরীতে ট্রেড করি। বাজার যখন দু-তিন দিন ভালো যায়, তখন আমরা ধীরে ধীরে শেয়ার বিক্রি করি এবং বাজার যখন খারাপ থাকে, তখন আস্তে আস্তে শেয়ার সংগ্রহ করি। অন্যদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজার যখন ভালো থাকে, তখন শেয়ার সংগ্রহ করে খারাপ সময় তারা বিক্রি করেন। যে কারণে ভুল সময় বিনিয়োগে ক্ষতিগ্রস্ত হন তারা।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: