facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

মেগা প্লান্টের সব চুক্তি সম্পন্ন করল সামিট গ্রুপ


১৬ মার্চ ২০১৯ শনিবার, ১০:২৪  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


মেগা প্লান্টের সব চুক্তি সম্পন্ন করল সামিট গ্রুপ

নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৫৮৩ মেগাওয়াট সক্ষমতার কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শেষ করেছে সামিট গ্রুপ। সামিট মেঘনাঘাট টু পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি ২০২২ সালের মার্চে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসবে বলে আশা করছেন কোম্পানির কর্মকর্তারা। এ প্রকল্পে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ার কোম্পানির কোনো শেয়ার থাকছে না।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, জিই গ্যাস পাওয়ারের চেয়ারম্যান জন রাইস, জেনারেল ইলেকট্রিক দক্ষিণ এশিয়ার গ্যাস পাওয়ার সিস্টেমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপেশ নন্দা, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ঢাকায় ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি অ্যানিক বোর্ডিন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সামিট গ্রুপ বিপিডিবির সঙ্গে ২২ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) ও জমি ইজারা চুক্তি (এলএলএ), তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ চুক্তি (জিএসএ), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গে জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি (এফএসএ), বাংলাদেশ সরকার ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ) সম্পাদন করে। এছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ৩৯ কোটি ডলারের ইপিসি চুক্তি সই হয় সামিট ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জিইর মধ্যে।

গত এক দশকের অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে উল্লেখ করে সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, এতে বিদ্যুতের গুরুত্ব অনেক এবং সামিট গ্রুপ এর অংশ হতে পেরে গর্বিত। কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে আগামী পাঁচ বছরে দেশে ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।

জিই দক্ষিণ এশিয়া গ্যাস পাওয়ারের সিইও দীপেশ নন্দা বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত একটি বড় রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এ দেশে ৪০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করতে চায় সরকার। সামিটের সঙ্গে জিইর দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ইকোসিস্টেম উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে।

সামিট করপোরেশনের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল করিম খান জানান, বিদ্যুৎ খাতের প্রযুক্তিগত রূপান্তরে সামিট আধুনিক ও দক্ষ যন্ত্রপাতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। জিই গ্যাস টারবাইন পাওয়ার প্লান্টে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। জিইর হেভি ডিউটি ৯ এইচএ ফ্লিটের গ্যাস টারবাইনের সুবাদে মেঘনাঘাট টু প্লান্টের জ্বালানি দক্ষতা হবে অসাধারণ। এই একটি গ্যাস টারবাইন থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, তা দেশের সাত লাখ পরিবারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।

তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাস কিংবা পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করা এলএনজির বর্তমান দামের ভিত্তিতে এ প্লান্ট থেকে সরকার ২ দশমিক ১৭৬ টাকা দরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ পাবে, যা এখন পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন রেট। আশা করছি, ২০২২ সালে উৎপাদনে আসার সময় এটিই হবে দেশের সবচেয়ে বড় কম্বাইন্ড সাইকেল গ্যাস টারবাইন প্লান্ট।

সামিট গ্রুপ ১৯৯৮ সালে দেশের প্রথম আইপিপি হিসেবে ১১৪ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে বিদ্যুৎ খাতে যাত্রা করে। ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী এ গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে, যা দেশের বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের মোট সক্ষমতার ২১ শতাংশ এবং জাতীয় সক্ষমতার ৯ শতাংশ। এর বাইরে জ্বালানি খাতেও বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে গ্রুপটি।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: