facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

মূলধন বাড়ানোর খবরে বাড়ছে ফু-ওয়াং সিরামিকের দর


১৭ জানুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার, ১১:৩০  এএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


মূলধন বাড়ানোর খবরে বাড়ছে ফু-ওয়াং সিরামিকের দর

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফু-ওয়াং সিরামিকের পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত মূলধন বাড়াবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোম্পানিটি বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সম্মতি নিয়ে এ মূলধন বাড়াবে।

একই সঙ্গে কোম্পানিটি এসএস স্টিল প্রাইভেট লিমিটেড অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি এসএস স্টিলের ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯০ টাকা মূলধন বাড়াবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ১০ টাকা। এর মাধ্যমে ফু-ওয়াং সিরামিক এসএস স্টিলের ১০০ ভাগ মালিকানা গ্রহণ করবে।

ফু-ওয়াং সিরামিক বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি ও বিনিয়োগকারীদের সম্মতি নিয়ে এ কোম্পানি অধিগ্রহণ করতে পারবে।

কোম্পানিটি ২৩ ফেব্রুয়ারি ইজিএম আহ্বান করেছে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে ইজিএম হবে। ফু-ওয়াং  সিরামিক ও এসএস স্টিলের ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অধিগ্রহণের বিষয়টি কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, সিরামিক খাতের তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে

তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৫২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ১৩ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

২০১৫ সালেও কোম্পানিটির ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছিল, যা আগের বছরের সমান। ২০১৫ সালে ইপিএস ছিল ৩৭ পয়সা এবং এনএভি ছিল ১২ টাকা ৩৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল যথাক্রমে ৪৯ পয়সা ও ১৩ টাকা ১৮ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল তিন কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল চার কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

গতকাল কোম্পানিটির ১৯ কোটি ১৮ লাখ ২২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৯৫ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৪টি শেয়ার মোট তিন হাজার ২০৮ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে ছয় দশমিক ৩৫ শতাংশ বা এক টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২০ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২০ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে এক পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৬২ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ১২ টাকা ৫২ পয়সা। তিন মাসে এনএভি বেড়েছে ১০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল এক কোটি দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১২ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের  পরিমাণ চার কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির ১১ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪২ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: