facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

মুনাফায় ফিরেছে নর্দার্ন জুট


১৭ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার, ১২:০৭  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


মুনাফায় ফিরেছে নর্দার্ন জুট

পণ্য রপ্তানিতে একক দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি। পাটপণ্য রপ্তানিতে ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্কের কারণে সর্বশেষ হিসাব বছরে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হয় কোম্পানিকে। তবে চলতি ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানি করায় লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে কোম্পানিটি।

চলতি অর্ধবার্ষিকে নর্দার্ন জুট পাটপণ্য রপ্তানি করে ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। আগের বছর একই সময় কোম্পানিটি রপ্তানি থেকে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা লোকসান করে।

লোকসান থেকে মুনাফায় আসা প্রসঙ্গে নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী বলেন, আমাদের পণ্যের ৯০ শতাংশই রপ্তানি হতো ভারতে। কিন্তু ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্কের কারণে মূল্য বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিতে আমাদের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে এখন সেখানে পণ্য রপ্তানি করে কিছু মুনাফা হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা এখন ভারত ছাড়াও চীন, রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কে আমাদের পণ্য রপ্তানি করছি। এখন আমরা ইউরোপের বাজার ধরতে চেষ্টা করছি। মূলত একক দেশের ওপর আমাদের রপ্তানির যে নির্ভরশীলতা ছিল, তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। বর্তমানে ভারতে আমাদের রপ্তানি ৯০ থেকে প্রায় ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যান্য দেশে শুল্ক সংক্রান্ত সমস্যা না থাকায় মুনাফায় ফিরে এসেছে কোম্পানি।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, একক দেশের ওপর রপ্তানি নির্ভরশীলতা কাটায় কোম্পানির রপ্তানি ব্যয় ৮৯ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশে নেমে এসেছে। রপ্তানি ব্যয় কমে যাওয়ায়ই কোম্পানিটির মুনাফায় ফিরে আসার প্রধান কারণ। চলতি দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) নর্দার্ন জুটের রপ্তানি আয় হয় ১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আর পণ্য রপ্তানিতে ব্যয় হয় ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। এতে কোম্পানির মোট মুনাফা হয় ৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩০ শতাংশ বেশি। প্রশাসনিক, সুদ বাবদ ব্যয় ও অন্যান্য আয় সমন্বয়ের পর কোম্পানির কর-পূর্ববর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ২ কোটি ৬ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ৫৩ লাখ টাকা লোকসান ছিল। চলতি দ্বিতীয় প্রান্তিকে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়ায় ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ৬৬ লাখ টাকা লোকসান হয়। চলতি হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিক শেষে নর্দার্ন জুটের নিট মুনাফা হয় ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা লোকসান ছিল। আগের বছরের তুলনায় চলতি হিসাব বছরে কোম্পানির রপ্তানি আয় কমলেও একক দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কাটায় মুনাফায় ফিরে এসেছে। চলতি অর্ধবার্ষিক শেষে নর্দার্ন জুটের শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়ায় ১১ টাকা ৯ পয়সা, যা আগের বছর ৬ টাকা ৪৫ পয়সা ঋণাত্মক ছিল। প্রসঙ্গত, পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজার হচ্ছে ভারত। সেখানে প্রায় ২ লাখ টন পাটসুতা, বস্তা ও চট রপ্তানি হয়। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টন হচ্ছে পাটসুতা। ভারতের গেজেট অনুযায়ী, বাংলাদেশি পাটপণ্য রপ্তানিতে আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত শুল্ক দিতে হবে। ভারতীয় মুদ্রায় এই শুল্কের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বর্তমানে মানভেদে প্রতি টন পাটসুতার গড় রপ্তানি মূল্যের ওপর ১৫০ ডলার পর্যন্ত শুল্ক দিতে হচ্ছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: