facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

মানবতার সেবাই চিকিৎসকের প্রথম ও প্রধান কাজ : প্রধানমন্ত্রী


১৭ অক্টোবর ২০২০ শনিবার, ০৯:৫২  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ার বিজনেস24.কম


মানবতার সেবাই চিকিৎসকের প্রথম ও প্রধান কাজ : প্রধানমন্ত্রী
পিআইডি

মানবতার সেবাই একজন চিকিৎসকের প্রথম ও প্রধান কাজ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশা করি যে কোনো পরিস্থিতিতে আপনারা (ডাক্তার) আপনাদের দায়িত্ব ভুলে যাবেন না।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানাস্থেসিওলজিস্টস আয়োজিত ‘ক্রিটিকাল কেয়ার-২০২০’ শীর্ষক প্রথম আন্তর্জাতিক ই-সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।


ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার রেকর্ডেড বক্তব্যে বলেন, চিকিৎসা একটি মহান পেশা। অসুস্থ মানুষের সেবা করে একজন ডাক্তার মূলত মানবতার সেবা করেন। সুতরাং আপনি যখন ডাক্তার হবেন আপনার প্রথম ও প্রধান কাজ হবে মানবতার সেবা করা। আশা করি যে কোনো পরিস্থিতিতে আপনারা আপনাদের দায়িত্ব ভুলে যাবেন না।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে ডাক্তারসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর শ্রম ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা এবং ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কঠোর পরিশ্রমই পারে দেশকে প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে। আমাদের সৌভাগ্য দেশে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু হার দুটোই কম। আশা করি আগামী দিনেও এই মহামারির বিস্তার রোধ করতে আমরা সক্ষম হবো।

করোনা মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে দুই হাজার ডাক্তার এবং পাঁচ হাজার নার্স এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

দায়িত্বপালনকালে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টসহ উল্লেখ্যযোগ্য ডাক্তার করোনায় মারা গেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের ত্যাগের কথা স্মরণ, গভীর শ্রদ্ধা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।


দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়নে সরকারে উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। আমরা শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে, ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনসহ চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারণ করেছি।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে আমরা দেশে বেশ কয়েকটি নতুন বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করেছি। আমাদের শক্তিশালী বেসরকারি সেক্টরও চিকিৎসাসেবা প্রদানে এগিয়ে এসেছে। গ্রামের মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদানে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র করেছি। সেখানে ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে।

অ্যানেস্থেসিওলজির গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্জারির আগে, চলাকালীন এবং পরে রোগীদের পেরিওপারেটিভ যত্নের সঙ্গে অ্যানেস্থেসিওলজির বিষয়ে সর্বত্রই বিশেষ মনোযোগ বাড়ছে। কারণ এর আওতায় অ্যানেস্থেসিয়া, নিবিড় যত্নের ওষুধ, ক্রিটিক্যাল জরুরি ওষুধ ও ব্যথার ওষুধ। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা তাদের অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দেব।

তিনি বলেন, সংকটাপন্ন রোগীদের ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি অ্যানাস্থেসিওলজিস্টরা অপারেশন থিয়েটারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। করোনা মহামারিতে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টসরা আইসিইউতে এবং আইসিইউর বাইরের করোনা রোগী ম্যানেজমেন্টে দুর্দান্ত কাজ করে চলছেন।

গুরুতর রোগীদের সেবায় সর্বশেষ জ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টসদের প্রতি অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টস সোসাইটির ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টস সোসাইটি কোভিড আইসিইউ ম্যানেজমেন্টে জাতীয় নির্দেশিকা প্রস্তুত করতে সহায়তা করেছে। তারা সারাদেশে আইসিইউ সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং করোনা রোগী ম্যানেজমেন্টে আইসিইউ ডাক্তার এবং স্টাফদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: