facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

মাদকের সঙ্গে যুক্তদের ধরে ধরে গুলিই সমাধান


০৩ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার, ১২:২২  এএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


মাদকের সঙ্গে যুক্তদের ধরে ধরে গুলিই সমাধান

 

মাদক দেশের এক নম্বর সমস্যা। এ সমস্যা থেকে মুক্তিতে মাদকের সঙ্গে যুক্তদের ধরে ধরে গুলি করাই একমাত্র সমাধান হতে পারে।

মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে সংস্থাটির ২৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মাদক নির্মূলে কয়েক যুগের ব্যর্থতা আর অসহায়ত্বের কথা ফুটে উঠল বক্তাদের কথায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী বললেন, মাদক ব্যবসায়ীরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও অনেক শক্তিশালী। তাঁদের ধারেকাছেও যাওয়া যাচ্ছে না।

কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইখতেখার উদ্দিন বললেন, যেভাবেই হোক, মাদক ব্যবসায়ীরা ক্ষমতাধর হয়েছেন। এখন তাঁদের সম্মানের চোখে দেখতে হয়। সবার বক্তব্য শুনে বর্ষীয়ান রাজনীতিক গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান মাদককে দেশের এক নম্বর সমস্যা উল্লেখ করে বলেন, এভাবে এত দিন হয়নি, হবেও না। মাদকের সঙ্গে যুক্তদের ধরে ধরে গুলি করাই একমাত্র সমাধান হতে পারে।

সংস্থাটির মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ অবশ্য আশাবাদী বক্তব্য দিয়েছেন। ২০১৮ সালে ৫০ জন মাদকের গডফাদারকে গ্রেপ্তারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সংস্থাটির মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাংসদ টিপু মুনশী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমদাদুল হক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য নঈম নিজাম, অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী প্রমুখ।

গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জঙ্গিদের দুই-চার-দশ দিন পর ফিনিশ করা যাবে। কিন্তু মাদকের অবস্থা ভয়াবহ।’ তিনি বলেন, ‘মাদক নির্মূলের জন্য আলাদা বাহিনী, আলাদা এক লাখ পুলিশ দেওয়া হলেও এটা বন্ধ হবে না। আমি আজকে লিখে দিতে পারি, আমার মৃত্যুর এক শ বছর পরও এভাবে চললে মাদক বন্ধ হবে না। যাদের দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করাবেন, রোগ তো তাদেরও আছে। আগে ইমান ঠিক করতে হবে। মাদকের সঙ্গে যুক্তদের “শুট অ্যাট সাইট” করতে হবে।’

সাংসদ টিপু মুনশী বলেন, ‘৭০ লাখ লোক মাদকাসক্ত বলে পড়লাম। আমরা সবাই চাই দেশটা মাদকমুক্ত হোক।’

সচিব ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘প্রকৃত মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত যাদের মাদকসম্রাট বা ইত্যাকার নামে ডাকা হয়, আমরা কিন্তু তাদের কাছে যেতে পারি না। সমাজে তারা নানাভাবে প্রতিষ্ঠিত। তাদের শক্তির উৎসগুলোকে বন্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে ফাইট করতে গেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।’

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইখতেখার উদ্দিন বলেন, ‘কারাগারে ৭০ হাজার বন্দীর মধ্যে ২৩ হাজার মাদকের সঙ্গে যুক্ত। হয় মাদক গ্রহণ করে, না হলে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। একটা সময় ছিল যখন তাদের আমরা সম্মানের চোখে দেখিনি। এখন দেখছি, হয়তো এখন তাদের ক্ষমতায় আসীন দেখতে পাচ্ছি যেকোনোভাবে।’

সংস্থাটির মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন বলেন, ইয়াবা ব্যবসায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন তৈরির কাজ চলছে। এ ছাড়া সিসাকে মাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে ৫০ গডফাদারকে গ্রেপ্তারসহ ১৮টি লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান তিনি।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: