১৫ জানুয়ারি ২০১৭ রবিবার, ১১:১৪ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
একটি বিড়াল কিছু একটা খাচ্ছিল। তা দেখে মনে হচ্ছিল, কোনো শিশুর শরীরে অংশ! সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাটিচাপা শিশুর লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাই শহরের অদূরে ভ্যায়ান্ডার এলাকায়। চার বছরের ওই শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে চতুর্থ আসামি এখনো নিখোঁজ।
পুলিশ জানায়, আসামিরা চকলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে পাশের একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে মাছ দিয়ে ভাত খায় আসামিরা।
ওই শিশুর টেম্পো চালক বাবা জানিয়েছেন, ৯ জানুয়ারি আজাদনগরে বাড়ির বাইরে খেলা করার সময় শিশুটি নিখোঁজ হয়। দুই দিন পর শিশুটির মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মহেশ পাতিল জানান, ‘১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আমরা খবর পাই একটি বিড়াল কিছু একটা খাচ্ছে—যা দেখতে শিশুর দেহ বলে মনে হয়। ঘটনাস্থলে শিশুটির দুই পা দেখা যাচ্ছিল। পরে তদন্ত করে দেখা যায়—সেখানে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে চার বছর বয়সী একটি শিশুর মরদেহ।’
পুলিশ জানায়, শিশুটিকে বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে একটি বন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অন্তত একজনের মাধ্যমে শিশুটি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। পরে তার মাথায় আঘাত করা হয়। এতে সে মারা গেলে তাকে মাটি চাপা দেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও শিশুটির ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাথায় আঘাতের কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন স্বীকার করেছে, শিশুটিকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়ার পর তারা একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে ভাত-মাছ খায়।
পুলিশের ধারণা, যে ব্যক্তি প্রধান আসামি, ওই শিশু ও তার পরিবারের সঙ্গে তার ভালো পরিচয় ছিল।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।