facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার উদ্বোধন


২৬ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার, ০২:৫৫  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার উদ্বোধন

জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলো মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মৌচাক মোড়ে প্যান্ডেল তৈরি করে ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন দেখানো হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপারেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণিসহ আওয়ামী লীগের নেতা ও দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

ফ্লাইওভার উদ্বোধনের আগে গণভবনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশে এখন মানুষের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা এসেছে। আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ছে বলে গাড়ির সংখ্যাও বাড়ছে। এটা অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও সূচক।’

গাড়ির সংখ্যা বাড়ায় যানজট বাড়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। আর এজন্যই ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মগবাজার মৌচাক ফ্লাইওভার যানজট নিরসনে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। মানুষ দ্রুত কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারবে। কর্মচঞ্চলতা বাড়বে। এই ফ্লাইওভার নির্মাণের সময় আমি খেয়াল রেখেছি, কয়েকবার ডিজাইন চেঞ্জ করেছি। যাই ব্যবহার করবেন যত্ন করে করবেন, ট্রাফিক আইন মানবেন। এগুলো জনগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য।’

উদ্বোধনের পর উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মেয়র সাঈদ খোকনসহ বেশ কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এসময় মগবাজার ফ্লাইওভারের জন্য ঢাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তারা।

তিন ভাগে মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ করা হয়েছে। একটি অংশে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি অংশ শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগ পর্যন্ত এবং শেষ অংশটি বাংলামোটর-মগবাজার-মৌচাক পর্যন্ত। ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ এ ফ্লাইওভারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত অংশ উন্মুক্ত করা হয়। এরপর ওই বছরেরই ১৫ সেপ্টেম্বর এ ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশ খুলে দেয়া হয়। সর্বশেষে চলতি বছরের ১৭ মে এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।

২০১১ সালে এ ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এরপর কয়েক ধাপে ব্যয় বেড়ে তা ১,১৩৫ কোটি টাকায় পৌঁছায়।

৮ দশমিক ৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চার লেনের এ ফ্লাইওভারে ওঠা-নামার জন্য তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা (হলি ফ্যামিলি হাসপাতালসংলগ্ন রাস্তা), বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ও শান্তিনগর মোড়ে লুপ বা র্যাম্প রাখা হয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: