facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

ভুয়া ও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে বাছাই নয়


১৬ মে ২০১৭ মঙ্গলবার, ০৮:০৯  পিএম

এমএ ওয়াদুদ মিয়া, শরীয়তপুর

শেয়ার বিজনেস24.কম


ভুয়া ও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে বাছাই নয়

প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বাছাই কমিটি গঠন করে তা স্বল্প সময়ের মধ্যে যাচাই বাছাই না করায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন করেছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার সময় শরীয়তপুর চৌরঙ্গীর মোড়ে এ মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল হাওলাদারসহ  অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ভুয়া ও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নয়, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দিয়ে বাছাই কমিটি গঠন করে তা স্বল্প সময়ের মধ্যে যাচাই বাছাই সম্পন্ন করতে হবে। যাদের কারণে যাচাই বাছাই হয়নি তাদেরকে আমরা ধিক্কার ও নিন্দা জানাই। পাশাপাশি শরীয়তপুর সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের দিন দ্রুত ধার্য করে বাছাই সম্পন্ন করতে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

তারা আরও জানান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার এম.এ ছাত্তার খান মুক্তিযুদ্ধের কোন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি। এমনকি তিনি কোন যুদ্ধে অংশ গ্রহণও করেননি। যেহেতু তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেননি সেহেতু কোন অস্ত্র জমা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে ১৬ ডিসেম্বর’৭১ বিজয় দিবস পর্যন্ত পালং থানার কোন এলাকায় তিনি ছিলেন না। তারপরেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং তদবীর করে ইতোপূর্বে মুক্তিযোদ্ধাদের বাছায়ের সময় তার বড় ভাই আব্দুল মান্নান খানের নাম মুক্তিযাদ্ধা হিসেবে লাল মুক্তিবার্তায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তার দুই ভাইয়ের কেউই মুক্তিযোদ্ধা নয়। আমারা ইতোমধ্যে শরীয়তপুর জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে জামুকা’র মহা-পরিচালক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, এবং জামুকা’র সদস্য ও নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

এ সময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল হাওলাদার, সহকারী কমান্ডার আলীম উদ্দিন শেখ, মীর্জা ইউনুস আলী, সংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আদেল উদ্দিন মাষ্টার, শেখ গিয়াস উদ্দিন, আবুল কাশেম মোল্যা, মাষ্টার হাবিবুর রহমান, মোহর উদ্দিন, সেকেন্দার হাওলাদার, মোতাহার দেওয়ান, আলী হোসেন খান, হাফিজ পেদা, মজিদ ছৈয়াল, সামসুল হক মুন্সী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার গত ২০ জানুয়ারী শনিবার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার এম.এ ছাত্তার খানসহ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম কমিটির চারজন উপস্থিত না থাকায় বাছাই কার্যক্রম বন্ধ করে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার এম.এ ছাত্তার খান বলেন, মানববন্ধন করা তাদের অধিকার। সে অধিকারে হস্তক্ষেপ করার রাইট আমার নেই। আমার বিরুদ্ধে তা যা বলছে তা অন্যায়। আমি যদি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হতাম তাহলে পর পর তিন বার নির্বাচিত জেলা কমান্ডার হতে পারতাম না। আমার ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের কমান্ডার এ্যাডভোকেট আবুল কাশেম মৃধা ভালো বলতে পারবেন। যারা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন তারা যেন এ্যাডভোকেট আবুল কাশেম মৃধার কাছে আমার ব্যাপারে জেনে নেন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: