০১ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার, ০৬:০৯ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় কৃমির ওষুধ খেয়ে শতশত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। অনেকে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে।
শনিবার সকালে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ার পর থেকেই দলে দলে হাসপাতালে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক ও স্বজনরা জানায়, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে শনিবার সকালে শৈলকূপা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এরপর থেকে প্রথমে অচিন্ত্যপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে শুরু করে। এরপর দেবতলা, কবিরপুর, হিতামপুর, হাকিমপুর, পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝাউদিয়া, কাতলাগাড়ি, ষষ্টিবরসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে থাকে। তাদের ভ্যান, নসিমন, করিমন ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হঠাৎ করেই শতশত শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় স্যালাইনের অভাব দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ওষুধ ও চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল শৈলকূপা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
খবর পেয়ে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংদস সদস্য আব্দুল হাই, উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার মোশাররফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উসমান গনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেন মোল্লা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের দেখতে হাসপাতালে যান।
শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার বাবর জানান, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রচণ্ড গরমে বাচ্চারা কিছুটা অসুস্থ হয়েছে। চিকিৎসা দিলে সবাই সুস্থ্য হয়ে যাবে। তিনি বাচ্চাদের রোদে না যেতে এবং ঠান্ডা স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।