facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

ব্যাপক শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি ও উদ্যোক্তারা


২৭ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার, ০৩:০৭  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


ব্যাপক শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি ও উদ্যোক্তারা

শেয়ারবাজারে গত ফেব্রুয়ারিজুড়ে দরপতন হয়েছে। এ সময়ে বিদেশিরা কেনার চেয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন বেশি। একই ভূমিকায় ছিলেন উদ্যোক্তা-পরিচালকরাও। এ দুই শ্রেণির বিক্রি করা শেয়ার কিনেছেন ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা।

তালিকাভুক্ত ৩০২ কোম্পানির গতকাল সোমবার পর্যন্ত শেয়ার ধারণ সম্পর্কিত তথ্য পর্যালোচনায় এমন চিত্র মিলেছে। অবশ্য তুংহাই নিটিং ও সিএনএটেক্স এবং মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের সর্বশেষ শেয়ার ধারণের তথ্য মেলেনি।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বোনাস শেয়ার ইস্যুর কারণে গত মাসে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, শাহজিবাজার পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার ও ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের পরিশোধিত মূলধন ১০২ কোটি টাকা বেড়েছে। এতে কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন ৫৮ হাজার ৬৪১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

চার কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধির পরও সার্বিক হিসাবে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ার মোটের ৩৯ দশমিক ৩১ শতাংশে নেমেছে। জানুয়ারির তুলনায় যা শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ কম। অভিহিত মূল্য বিবেচনায় এদের শেয়ারের মূল্য ২০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা কমে ২৩ হাজার ৪৯ কোটি টাকায় নেমেছে।

একই সময়ে মোট শেয়ারে বিদেশিদের অংশ শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ কমে ৪ দশমিক ৩২ শতাংশে নেমেছে। ফেব্রুয়ারি শেষে অভিহিত মূল্য বিবেচনায় তাদের শেয়ারের মোট মূল্য ছিল ২ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা, যা আগের মাসের তুলনায় ১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা কম।

এ দুই শ্রেণির বিনিয়োগ হ্রাসের বিপরীতে বেড়েছে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরও শেয়ারধারণ সামান্য বেড়েছে। পর্যালোচনার তথ্য অনুযায়ী, এদের ধারণ করা শেয়ার ছিল মোটের ১৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। জানুয়ারির তুলনায় যা শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ বা অভিহিত মূল্য বিবেচনায় ১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা বেশি। এ হিসাবে তাদের শেয়ারের মোট মূল্য ছিল ১০ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে উদ্যোক্তা-পরিচালক ও বিদেশিদের হিসাব থেকে যে পরিমাণ শেয়ার কমেছে, তার প্রায় সমান পরিমাণ বেড়েছে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের হিসাবে। জানুয়ারির তুলনায় এদের শেয়ার মোটের শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে ৩৩ দশমিক ৩১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অভিহিত মূল্য বিবেচনায় ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা শেয়ারের মূল্য ১৯ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা।

এদিকে সার্বিক দরপতনের ফলে বাজার মূলধন বিবেচনায় সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীর ধারণ করা শেয়ারের বাজার মূল্য কমেছে। চার কোম্পানির শেয়ার বৃদ্ধি সত্ত্বেও জানুয়ারির তুলনায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সব শেয়ারের বাজার মূল্য কমেছে ১৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি শেষে ৩০২ কোম্পানির বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা।

এতে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের মোট শেয়ারের বাজার মূল্য ৭ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা কমে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকায় নেমেছে, যা মোটের ৫৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা শেয়ারের বাজার মূল্য ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা কমে ৪৮ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকায় নেমেছে। বাজার মূলধনে এদের অংশ ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ।

বিদেশিদের ধারণ করা শেয়ারের বাজার মূল্য ৯১০ কোটি টাকা কমে ২৫ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকায় নেমেছে। বাজার মূলধনে এদের হিস্যা মোটের ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ওই সময় বিদেশিরা ৩৯৩ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছিলেন। বিপরীতে ৪৮৮ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেন।

এ ছাড়া গত মাসে ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা শেয়ারের বাজার মূল্য কমেছে ৫ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। যার মোট বাজার মূল্য ছিল ৬৪ হাজার ১০৭ কোটি টাকা, যা বাজার মূলধনের ১৮ দশমিক ৬২ শতাংশ।

তালিকাভুক্ত ২৬ কোম্পানিতে সরকারের অভিহিত মূল্য বিবেচনায় ২ হাজার ৮১২ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার ছিল, যা মোট মূলধনের ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর জানুয়ারির তুলনায় সরকারের সব শেয়ারের বাজার মূল্য ১ হাজার ৩১২ কোটি টাকা কমে ১৭ হাজার ৫৬ কোটি টাকায় নেমেছে। বাজার মূলধনে সরকারের শেয়ার মোটের ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: