০৬ জুন ২০১৭ মঙ্গলবার, ০৯:৩০ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, এবারের বাজেটে সরকার মানুষের পকেটেও হাত দিয়েছে। এর ফলে ব্যাংকে টাকা রাখতে কেউ সাহস করবে না।
তিনি বলেন, এক লাখ টাকা রাখলে বছরে ৮শ টাকা কেটে নেবে, তাহলে থাকবে কী? তারপরও অর্থমন্ত্রী বলেন, যার ১ লাখ টাকা থাকবে সে বড়লোক। তাহলে আপনাদের হাজার হাজার কোটি টাকার কী হবে?
লিবারেল ডেমোক্রেটি পার্টি (এলডিপি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার ৬জুন রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটি পার্টি (এলডিপি)।
২০১৮ সাল জনগণের বছর হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, ২০১৮ সালে জুলুম অত্যাচার অত্যাচারী বিদায় হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন আওয়ামী লীগ সুন্দর সুন্দর কথা বলে, মিথ্যা কথা বলে, অনেক উন্নয়নের ফিরিস্তি দেবে কিন্তু হিসাব চাইলে সেটা তারা মেলাতে পারবে না।
খালেদা জিয়া বলেন, যে আইনশৃঙ্খলা অবনতি হচ্ছে ঠিক তেমনিভাবে দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। এ আওয়ামী লীগ মানুষকে ভাওতা দেওয়ার জন্য অনেক মিথ্যা কথা বলে কিন্তু কাজে কখনো পরিণত করে না। এ আওয়ামী লীগই মানুষকে আশা দিয়েছিলো ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে কিন্তু আজকে ১ কেজি চালের দাম ৫০ টাকা। গরিব মানুষের অবস্থা খারাপ। মাছ-মাংসের দামের কথা বাদই দিলাম। কোন সবজি ৪০-৫০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। তার উপর আবার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেই যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম, পানির দাম বাড়িয়েছে, প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। এখন কি উন্নয়ন করছে তারা? এতো বিদ্যুৎ দেবে বাংলাদেশ নাকি ঝলমল করবে। কিন্তু এখন ঢাকা শহরেই লোডশেডিং বেড়ে গেছে। সারাদেশ অন্ধকারে। এ হচ্ছে সত্যিাকার আওয়ামী লীগের উন্নয়নের নমুনা।
ইফতার মাহফিলে খালেদার পাশে বসেন ২০ দলীয় জোট নেতা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ড. কর্নেল অলি আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গনি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যেজোটের এম এ রকিব, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ আহমেদ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবু তাহের, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রেহানা প্রধান প্রমুখ।
এছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধূরি, উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।