facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে


১৮ মার্চ ২০১৯ সোমবার, ১০:৪৩  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে

পুঁজিবাজার বিগত পাঁচ বছর ধরে বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে রয়েছে। ছোট-বড় সব শ্রেণির কোম্পানির শেয়ার রয়েছে বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে। ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত রয়েছে নিরাপদ স্থানে। সম্প্রতি ডিএসই থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে সব ধরনের শেয়ার বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে থাকলেও কাক্সিক্ষত সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে স্থায়ীভাবে স্থায়ী স্থিতিশীলতা ফেরেনি। অথচ এ সময়ের মধ্যে বাজারে অতিমূল্যায়িত শেয়ার সংখ্যাও ছিল খুবই কম।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে যেসব কোম্পানির শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়েছে এর মধ্যে বেশিরভাগই স্বল্পমূলধনি, দুর্বল কোম্পানি কিংবা ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানি। মূলত এসব কোম্পানির দাপটে পুঁজিবাজারে স্থায়ীভাবে স্থিতিশীলতা ফেরেনি বলে মনে করেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

এদিকে গত পাঁচ বছরের সবসময়ই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির গড় পিই-রেশিও বা শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ২০-এর নিচে অবস্থান করছে। ২০১৪ সাল শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের গড় পিই-রেশিও ছিল ১৭ দশমিক ৭৭। ২০১৫ সালে তা আরও কমে হয় ১৫ দশমিক ২৩। বাজার পতনের জের ধরে ২০১৬ সালে পিই-রেশিও আরও কমে যায়। এ বছরের (২০১৬) শেষে পিই-রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ২৯ পয়েন্টে।

পরের বছর (২০১৭) পিই-রেশিও সামান্য বেড়ে হয় ১৭ দশমিক ২৮। এই সময় কিছুদিন পুঁজিবাজার ভালো অবস্থানে থাকায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়ে, যার প্রভাবে পিই রেশিও কিছুটা বেড়ে যায়। ২০১৮ সালের শেষে পিই রেশিও দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১৯। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৭০ পয়েন্টে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বললে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, বছরের পর বছর বিনিয়োগ্যযোগ্য অবস্থানে থাকার পরও বাজারে স্থায়ীভাবে স্থিতিশীলতা না আসার কারণ পুঁজিবাজারে ভালো ভালো মানের কোম্পানি না আসা। এছাড়া স্বল্পমূলধনি ও দুর্বল কোম্পানির আধিপত্যও এর জন্য দায়ী।

জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারে স্থায়ীভাবে স্থিতিশীলতা আনতে হলে সবার আগে দরকার ভালো মানের প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ ভালো শেয়ারের জোগান বৃদ্ধি করা। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা হচ্ছে না। গত কয়েক বছরে পুঁজিবাজারে বেশকিছু কোম্পানির তালিকাভুক্ত হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ভালো মানের কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম। আমি মনে করি ভালো মানের কোম্পানির জোগান বাড়লে অবশ্যই বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।

একই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর একজন পরিচালক বলেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা না আসার মূল কারণ দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি। বছরের সব সময়ই এ ধরনের কিছু কোম্পানির আথিপত্য দেখা যায়। যে কারণে ভালো মানের কোম্পানি ছেড়ে এসব শেয়ারে ঝুঁকে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। ফলে ভালো শেয়ারের চাহিদা কমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাবে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।

বিএসইসির উদাসিনতাকে এ জন্য দায়ী করে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাইলে সহজেই এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু তাদের কখনও সে ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় না। তারা কখনও কোনো পদক্ষেপ নিলেও সেটা হয় সর্বশেষ স্তরে গিয়ে। ফলে এটা কোনো কাজ দেয় না।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের পিই-রেশিও ২০-এর নিচে থাকলে সে শেয়ারে বিনিয়োগ নিরাপদ মনে করা হয়। ২০-এর ওপরে গেলে শেয়ার ধীরে ধীরে অতিমূল্যায়িত হয়ে ওঠে। ৪০-এর ওপরে গেলে সেই শেয়ারকে অতিমূল্যায়িত ভেবে মার্জিন সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: