১৬ মে ২০১৭ মঙ্গলবার, ০৬:৩৪ পিএম
সিলেট করেসপন্ডেন্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুরাবই গ্রামে হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আকাশ মিয়া (১৩) নামে এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আকাশ মিয়া শায়েস্তাগঞ্জ থানার নূরপুর ইউনিয়নের সুরাবই (মোকামবাড়ি) গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় ২০ দিন আগে আকাশের দাঁতের ব্যথার জন্য সুতাং বাজারের ব্রিজ সংলগ্ন হাতুরে ডাক্তার বিলাল হোসেনের কাছে যাওয়া হয়, তখন বিলাল ডাক্তার ব্যথা কমাতে দাঁতই তুলে ফেলেন। আর দাঁত তুলে নেওয়ার পরই প্রচুর রক্তপাত শুরু হয়। পরের দিন যখন রক্ত বন্ধ হচ্ছিল না তখন আকাশের বাবা তাকে হবিগঞ্জে এক দাঁতের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে ওই ডাক্তার আকাশকে সিলেটে নিয়ে যেতে বলেন। সেখান থেকে আকাশকে সিলেট রাগিব আলী হাসপাতালে ৪/৫ দিন চিকিৎসা করান। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হলে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আকাশকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে ৩ দিন চিকিৎসার পর গত ১৫ মে সোমবার বাড়িতে আনা হয় আকাশকে। বাড়িতে আনার পরদিনই অর্থাৎ মঙ্গলবার ভোর ৪টায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, হাজী আফরাজ আলী হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আকাশ মিয়ার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাদের অভিযোগ, সুতাং শাহজীবাজারে হাতুড়ে ডাক্তারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এদের অপচিকিৎসা ও ভুল প্রেসক্রিপশনে মৃত্যুর সংখ্যাও দিনদিন বাড়তে শুরু করেছে।
এ নিয়ে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা বা চিকিৎসালয়ের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে।
আকাশ মিয়ার দাঁত উঠানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে ‘ডাক্তার’ বিলাল বলেন, আমি আকাশের দাঁত উঠাইনি, আমি তাকে কয়েকটা ব্যথার ওষুধ দিয়ে বলছি হবিগঞ্জে যাওয়ার জন্য।
এ ব্যাপারে আকাশের পরিবার শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছেন। জিডির পরই শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই আমিনুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।