facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীদের সিংহভাগই নিষ্ক্রিয়


২৪ মে ২০১৯ শুক্রবার, ০২:৪৬  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীদের সিংহভাগই নিষ্ক্রিয়

শেয়ারবাজার আবারও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার চাহিদা কমায় লেনদেন নেমে এসেছে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে। শেয়ারদরের ওঠানামাও সীমিত হয়ে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ দিনে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। তাতে অবশ্য সূচকে বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

এদিকে, লেনদেন শুরুর তৃতীয় দিনেও কমেছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রানার অটোমোবাইলসের শেয়ারদর। গত মঙ্গলবার লেনদেনের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা ৮০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছিল। গতকাল শেয়ারটি সর্বনিম্ন ৮৭ টাকা ৭০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। সর্বশেষ ৮৮ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয় রানারের শেয়ার।

বাজার-সংশ্নিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক দরপতনের প্রেক্ষাপটে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি উন্নতির স্বার্থে নানা পর্যায় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার তেমন কোনো প্রভাব বাজারে নেই। মধ্যে দু-একদিন শেয়ারদর, সূচক ও লেনদেন বাড়লেও তা স্থায়ী হয়নি।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আরও বেশি বিনিয়োগ করার সুযোগ করে দিতে আইনি সংস্কার আনা হয়েছে। উপরন্তু তারল্য সংকট সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে ৮৫৬ কোটি টাকার স্বল্প সুদের ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের প্রভাব বাজারে নেই। এ কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত।

কয়েকটি শীর্ষ মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীদের সিংহভাগই নিষ্ফ্ক্রিয়। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ আগের মতোই নগণ্য পর্যায়ে। এ অবস্থায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্তহীনতায়। যার সার্বিক প্রতিফলন পড়ছে লেনদেন।

গতকালের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে ১২৯ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে ১৬৪টির দর কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল ৪৭টির দর। অবশ্য ডিএসইএক্স সূচক মাত্র শূন্য দশমিক ৩৫ পয়েন্ট হারিয়ে ৫২৫০ দশমিক ৬০ পয়েন্টে নেমেছে। দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতে ৯৬ শেয়ার ও ফান্ডের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১১২টির দর কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল ৩৬টির দর। দুই বাজার মিলে কেনাবেচা হয়েছে ৩৩৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার। এর মধ্যে ডিএসইতে ৩১৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

ডিএসইর খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানির বেশিরভাগ শেয়ারদর বেড়েছে। এর বাইরে অন্য সব খাতের বেশিরভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে। ব্যাংক খাতের লেনদেন হওয়া ২৭ শেয়ারের মধ্যে ১৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০টি এবং অপরিবর্তিত ছিল চারটির দর। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ১৫টির দর বেড়েছে, কমেছে চারটির। বীমা খাতের ২৮ শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৮টির।

উৎপাদন ও সেবামুখী খাতগুলোর মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের আট কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ১১টির। প্রকৌশল খাতের ১২টির দর বেড়েছে, কমেছে ২২টির। ওষুধ ও রসায়ন খাতের আটটির দর বেড়েছে, কমেছে ১৯টির। বস্ত্র খাতের ১২টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির দর। বাকি ১১ খাতের ৭২ কোম্পানির মধ্যে ৪৭টি দর হারিয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: