facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

বীমা কোম্পানিগুলোকে দিতে হবে না লাইসেন্স নবায়ন ফি


২৩ মে ২০১৭ মঙ্গলবার, ০৫:৫০  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


বীমা কোম্পানিগুলোকে দিতে হবে না লাইসেন্স নবায়ন ফি

বীমা কোম্পানিগুলোর নিবন্ধন নবায়নে কোনো ফি দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স (ডিসিসিআই) ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান রূবিনা হামিদ, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের উপদেষ্টা নাসির এ চৌধুরী, চার্টার্ড ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এমপি, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গকুল চাঁদ দাস প্রমুখ।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বীমা কোম্পানিগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নিবন্ধনের নবায়ন ফি বাতিল করার। এ বিষয়ে একাধিকবার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ও অর্থ মন্ত্রালয়ের কাছে সুপারিশ করেছেন বীমা খাতের কর্মকর্তারা।

বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে বীমা করতে হবে। আর স্বাস্থ্য বীমায় কোনো কর থাকবে না। পাশাপাশি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে— এ ধরনের কোনো এনজিও বীমা ব্যবসা করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিবন্ধন নবায়নে বীমা কোম্পানিগুলোকে প্রতি ১ হাজার টাকা প্রিমিয়াম আয়ের ওপর সাড়ে ৩ টাকা হারে ফি জমা দিতে হয়। আগামীতে এ ফি দিতে হবে না।

বীমা কোম্পানির লাইসেন্স নবায়নের সময়সীমা শেষ হয়েছে ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর। এর পর প্রায় ছয় মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও অধিকাংশ বীমা কোম্পানিই তাদের লাইসেন্স নবায়ন করেনি। যদিও লাইসেন্স নবায়ন ছাড়া বীমা কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার আইনগত বৈধতা নেই। তবে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের লোকবল সংকট ও কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থার কারণে প্রতি বছরই নিবন্ধন নবায়ন নিয়ে জটিলতায় পড়তে হতো কোম্পানিগুলোকে।
জানতে চাইলে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের এক কর্মকর্তা বলেন, যথাসময়ে আমরা আমাদের বকেয়া ভ্যাট পরিশোধ করেছি। লাইসেন্স নবায়নের যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছি। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের লোকবল সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে আমাদের লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে।

একই বক্তব্য প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও জালালুল আজীম ও গার্ডিয়ান লাইফের সিইও মনিরুল আলমেরও।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যবসা যথেষ্ট ভালো নয়, তাই অধিকাংশ কোম্পানিই লাইসেন্স নবায়ন ফিকে বাড়তি চাপ বলে মনে করছে। প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়নে বাড়তি টাকা আদায় বন্ধের দাবি করে আসছিলেন তারা।

এ বিষয়ে বীমা কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সভাপতি বিএম ইউসুফ আলী বলেন, বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই অর্থ মন্ত্রণালয় ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। অবশেষ অর্থমন্ত্রী বিষয়টি বুঝে আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন।

এদিকে বীমা আইনে বীমা কোম্পানি ছাড়া অন্য কারো বীমা সুবিধা প্রদানের সুযোগ না থাকলেও এমআরএ আইনের ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ক্ষুদ্রঋণদানকারী এনজিওগুলো বীমাসেবা দিতে পারবে। তবে তার পূর্ণ বিবরণ, আদায়কৃত প্রিমিয়াম, গ্রাহকের দাবি পরিশোধ ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতার বিবরণ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে। কিন্তু দেশের তৃণমূল পর্যায়ে এনজিওগুলোর বীমা ব্যবসা থেকে ঠিক কী পরিমাণ প্রিমিয়াম আদায় হয়েছে, আর কত দাবি পরিশোধ করেছে, তার কোনো তথ্য নেই এমআরএর কাছেও।

তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এখন ক্ষুদ্রঋণদানকারী এনজিওদের বীমা ব্যবসা বন্ধে তত্পর হচ্ছে এমআরএ।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: