১৬ এপ্রিল ২০১৭ রবিবার, ০২:১৬ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
আনারসের বাগান করে লাভবান হয়েছেন পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নের কুড়াদিয়াছড়ি গ্রামের বাসিন্দা তুষিত কুমার চাকমা (৪৩)। সম্প্রতি তার বাগান ঘুরে দেখা যায়, মৌসুম না হওয়া সত্ত্বেও প্রতিটি গাছে আনারস এসেছে।
তুষিত কুমার আনারস চাষে আগ্রহী হন মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে গিয়ে। সেখানকার পাহাড়ে আনারসের বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে কৃষকদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন। স্থানীয় এক আদিবাসী তুষিতের আগ্রহের কথা জেনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে তাকে ১২ জন শ্রমিক ঠিক করে দেন খাগড়াছড়িতে এসে বাগানে কাজ করার জন্য।
শ্রমিকদের নিয়ে তুষিত তিন বছর আগে বাগানের কাজ শুরু করেন। পাঁচ একর জমিতে ১ লাখ ২৫ হাজার আনারসের চারা রোপণ করেন। প্রথম ও দ্বিতীয় বছর ফলন হয়নি। তবে তৃতীয় বছরে ঠিকমতো বাগান পরিচর্যা করায় মৌসুম না হওয়া সত্ত্বেও গাছে প্রচুর আনারস ধরেছে।
তুষিত জানান, এ পর্যন্ত বাগানের পেছনে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রায় এক মাস আগে বাগানের আনারস বিক্রি শুরু করেছেন। খরচের টাকা উঠে এসেছে এরই মধ্যে। এ পর্যন্ত বাগানের ৬-৭ শতাংশ আনারস বিক্রি করেছেন।
বাগানে কাজ করেন সুরেশ ব্যানার্জি (২৮)। তিনি বলেন, ‘আমরা বংশপরম্পরায় চা, আনারস ও লেবুর বাগানে কাজ করি। ভালো ফলন পাওয়ার ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা আছে। আনারসের আগাম ফলন পেতে বাগানে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ হরমোন।’
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা যুগল পদ দে জানান, হানি কুইন জাতের আনারস (গাছের পাতা কাঁটাযুক্ত) স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। হরমোন ব্যবহার করে এ আনারস বছরে তিনবার ফলন ফলানো যায়। অফ-সিজনে (অমৌসুম) দুবার ও মৌসুমে একবার। তিনি আরো বলেন, সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আনারসের চাষ করা হয়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ ফলন পাওয়া যায়।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।