১২ জুলাই ২০১৭ বুধবার, ১০:৫৪ এএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে বাড়ছে বিদেশী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ, কমছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ভাল ইপিএস করছে কোম্পানিটি।
দেখা যাচ্ছে সিনোবাংলা দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় শেয়ার প্রতি ৮ পয়সা বেশি ইপিএস করেছে। এর ধারাবাহিকতায় তৃতীয় প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় ডবল ইপিএস করেছে। কোম্পানিটির বছর শেষ জুন-জুলাই। তাই বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী হচ্ছেন যে হয়তো চলতি বছরে ভাল লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যেমে কোম্পানিটি পূর্বের মত এ ক্যাটাগরি ফিরে আসবে। বিগত বছরগুলো পর্যাচোলনা করে দেখা যায়,কোম্পানিটি কখন বোনাস ঘোষণা না করে ক্যাশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা একটি ভাল ব্যবস্থাপনার সাইন।ডিএসইতে প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের ইপিএস।
কোম্পানিটি সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে সম্প্রসারণে যাওয়ার ঘোষণা দেয় এবং এ লক্ষ্যে ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনের আশেপাশে জমি ক্রয় করে।
পাশাপাশি বিদেশ থেকে ৭ ক্যাটাগরির নতুন মেশিনও আমদানির করেছে। এর জন্য কোম্পানিটির ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৬ কোটি টাকা সমান।
যার মধ্যে রয়েছে একটি ভিআইজেড, একটি টেপ লাইন, ২০টি লুম, একটি বেল প্রেস মেশিন, একটি অটো কাটিং সুইং মেশিন, একটি প্রিন্টিং মেশিন, ৮টি সনিক সুইং মেশিন এবং অতিরিক্ত ওয়্যারহাউস। এতে কোম্পানিটির মাসিক উৎপাদন ১৫০ মেট্রিক টন বাড়বে।
কোম্পানির ঊর্ধতন এক কর্মকর্তা বলেন, সিনোবাংলা কোম্পানির কারখানা সম্প্রসারণ করতে মোট ব্যয় করা হয়েছে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কোম্পানিটি কারখানা সংলগ্ন অতিরিক্ত জমিও কেনা হয়েছে। একই সঙ্গে সিনোবাংলা ৫শতাংশ সুদে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বিদেশি ঋণ পেয়েছে। যা দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণের অন্যান্য করা কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এবারে কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিষয়টি কোম্পানির ‘মূল্য সংবেদনশীল’ অনেক তথ্য এক সঙ্গে হওয়ায় কোম্পানির ঊর্ধতন কোন কর্মকর্তা কথা বলতে রাজী হননি।
গত বৎসর নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাধ্যবাধকতায় মাত্র ৮ মাসে হিসাব বৎসর শেষ করে সিনোবাংলা, ফলে লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। ফলশ্রুতিতে ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমে যায় সিনোবাংলা।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।