২৬ আগস্ট ২০১৯ সোমবার, ০২:২৬ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজি করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগের সত্যতা পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা ইউনিট।
আজ সোমবার দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিএসইসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধানে নামে দুদক। তবে দুদকের গোয়েন্দা তথ্য অনুসন্ধানে এর কোনও সত্যতা মেলেনি।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। কমিশন প্রতিবেদন আমলে নিয়ে নথিভুক্ত করেছে। গোয়েন্দা প্রতিবদনে বলা হয়েছে, বিএসইসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন তিনি ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। যা ভুয়া অভিযোগ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহকে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এতে এক বা একাধিক সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কোন ভিত্তিহীন অভিযোগ করলেই তা প্রমাণিত বলে ধরে নেওয়া যায় না। এ ধরনের কল্পিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বহুল প্রচারিত পত্রিকাসমূহ ফলাও করে প্রচার এবং পদত্যাগের দাবি অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। একইসাথে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চরম ব্যত্যয়। ফলে কমিশন সংশ্লিষ্ট সকল মহল থেকে এ জাতীয় সংবেদনশীল বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।
একই সঙ্গে এ অভিযোগ ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ২০১০ সালে পুঁজিবাজার বিপর্যয়ের পর দেশের পুঁজিবাজার পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০১১ সালের মে মাসে ড. এম খায়রুল হোসেনকে চেয়ারম্যান করে বর্তমান কমিশন গঠন করে। ড. এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে সুদীর্ঘ ৮ বছর পুঁজিবাজার উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এই সময়ে পুঁজিবাজার তথা বিনিয়োগকরীদের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আইনগত সংস্কার ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার আজ এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।