facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

বাবাকে জবাই করে হত্যা, ঘাতক ছেলে আটক


১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার, ০৫:৫৫  পিএম

এমএ ওয়াদুদ মিয়া, শরীয়তপুর

শেয়ার বিজনেস24.কম


বাবাকে জবাই করে হত্যা, ঘাতক ছেলে আটক

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের বাবাকে জবাই করে হত্যা করেছে ছেলে। শুক্রবার সকালে জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোট কালিনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গোসাইরহাট থানা পুলিশ ছেলেকে আটক করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় এবং স্বজনদের দাবি, ঘাতক ছেলেটি মানসিক প্রতিবন্ধী। তবে পুলিশ বলছে কোনো ডাক্তারি সার্টিফিকেট ছাড়া তাকে মানসিক প্রতিবন্ধী বলা যাচ্ছে না।

নিহতের জামাতা আবুল কালাম মাঝি, গোসাইরহাট থানা এবং স্থানীয়রা জানায়, জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোট কালিনগর গ্রামের ওয়ারেছ খার স্ত্রী ৬ বছর আগে মারা যাওয়ার পর তার ৫ সন্তানের মধ্যে ছোট সন্তান দবিরকে নিয়ে একাই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। অপর বড় দুই ছেলে ঢাকায় বসবাস করে এবং দুই মেয়ে শশুর বাড়ি থাকে। দবির গত দুই বছর আগে গোসাইহাট সামছুর রহমান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বিএ ভর্তি হয়েছিল। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তার মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় সে লেখাপড়া ছেড়ে দেয়। প্রায়ই দবির এবং তার বাবা ওয়ারেছ খার সঙ্গে ঝগড়ার ঘটনা ঘটতো। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাবা ওয়ারেছ খা (৭০) নিজ বাড়ির উঠানে বসে কাপড় কাচছিলেন। এ সময় ছেলে দবিরের (২২) সঙ্গে হঠাৎ করে ঝগরা বাঁধে। একপর্যায়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে দবির ঘর থেকে ধারালো ছেনদা এনে বাবাকে জবাই করে ফেলে। ওয়ারেছ খা ঘটনাস্থলেই মারা যান। তখন দবির বাবা বাবা করে চিৎকার করে এবং নিজেও আত্মহত্যার ছেষ্টা চালায়। দবিরের চিৎকার শুনে চাচাতো ভাই রুবেল খান, সেলিম উদ্দিনসহ আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন এবং দবিরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

পরে গোসাইরহাট থানায় সংবাদ দেওয়া হলে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। আর দবিরকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিহতের ভাতিজা রুবেল খান বলেন, দবির তার বাবাকে হত্যা করে ডাক চিৎকার দিয়ে নিজের গলায় ছেনদা দিয়ে  আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় আমরা তাকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখি।

নিহতের মেয়ে নাজমা বেগম ও জামাতা আবুল কালাম মাঝি বলেন, প্রায় দেড় বছর যাবৎ দবির মানুষিক প্রতিবন্ধী অবস্থায় আছে। এ কারণে সে লেখা পড়া ছেড়ে দিয়েছে। আজ সকালে দবির বাবার কাছে টাকা চায়। টাকা না দেয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ছেনদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা ঘটনার সংবাদ শুনে এসে  দেখি বাবার রক্তাক্ত লাশ উঠানে পড়ে আছে। আমার বাবা ও ভাই দুইজনেই এই বাড়িতে থাকতো।

গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি। ঘাতক ছেলেটিকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় ও স্বজনদের দাবি, ঘাতক ছেলেটি মানসিক প্রতিবন্ধী। এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না। মামলার প্রস্তুতি চলছে, মামলা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: