facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪

Walton

বাটা শুর আয়ে বড় উল্লম্ফন, কমার শীর্ষে হাইডেলবার্গ


১৬ আগস্ট ২০১৭ বুধবার, ০৭:০১  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


বাটা শুর আয়ে বড় উল্লম্ফন, কমার শীর্ষে হাইডেলবার্গ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক বেশির ভাগ কোম্পানির আয় বেড়েছে। তালিকাভুক্ত ১১টি বহুজাতিক কোম্পানির মধ্যে ৬টির আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন ঘটেছে বাটা শুর আয়ে। আর ৫ কোম্পানির আয় কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় কমেছে হাইডেলবার্গ সিমেন্টের। সম্প্রতি প্রকাশিত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১টি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো বাটা শু, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ বা বিএটিবি, বার্জার পেইন্টস, গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইন, গ্রামীণফোন, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, লিনডে বাংলাদেশ, ম্যারিকো বাংলাদেশ, রেকিট বেনকিজার ও সিঙ্গার বাংলাদেশ।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইর বাজার মূলধনের প্রায় ২৪ শতাংশ তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর দখলে রয়েছে। এর মধ্যে এককভাবে সর্বোচ্চ বাজার মূলধন দখল করে আছে টেলিকম খাতের একমাত্র তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্রামীণফোন। এ কোম্পানিই এককভাবে ডিএসইর বাজার মূলধনের প্রায় ১৩ শতাংশ দখলে রেখেছে।

এদিকে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের অর্ধবার্ষিক ও ত্রৈমাসিক যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, আয় বৃদ্ধির দিক থেকে শীর্ষে বা সবার ওপরে রয়েছে বাটা শু। ২০১৬ সালের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়েছে সাড়ে ১৩ টাকা। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে বাটা শুর ইপিএস ছিল ২৫ টাকা ৭৯ পয়সা। চলতি বছরের প্রথমার্ধ শেষে তা প্রায় ৫২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৯ টাকা ২৯ পয়সা।

আর সর্বশেষ চলতি এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ১২ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৭৪ পয়সায়। ১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা ১০ টাকার অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার শেয়ারে বিভক্ত। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক, সাধারণ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীর হাতে।

এর বাইরে আয় বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীণফোন, সিঙ্গার বাংলাদেশ, রেকিট বেনকিজার ও ম্যারিকো। এর মধ্যে ভারতীয় মালিকানার ম্যারিকো বাংলাদেশের আর্থিক বছর হিসাব করা হয় এপ্রিল থেকে মার্চ সময়ে। ফলে এটির আয়ের তুলনামূলক চিত্রটি মূলত এপ্রিল-জুনের ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে করা।

গত বছরের ছয় মাসের সঙ্গে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় আয় কমার দিক থেকে সবার ওপরে রয়েছে সিমেন্ট খাতের বহুজাতিক কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট। ২০১৬ সালের প্রথমার্ধের চেয়ে চলতি বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৬ টাকা ৫৮ পয়সা। চলতি বছরের জুন শেষে এটির শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৭১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৯ টাকা ২৯ পয়সা। সেই হিসাবে আগের বছরের ছয় মাসের তুলনায় এ বছরের প্রথমার্ধে হাইডেলবার্গ সিমেন্টের আয় প্রায় ৩৪ শতাংশ কমে গেছে।

১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হাইডেলবার্গের মোট পরিশোধিত মূলধন প্রায় সাড়ে ৫৬ কোটি টাকা, যা ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৫ কোটি ৬৫ লাখ শেয়ারে বিভক্ত। এর মধ্যে প্রায় ৬১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে কোম্পানিটির মূল উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক, বিদেশি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে বাকি প্রায় ৩৯ শতাংশ শেয়ার।

আয় কমার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইন। ২০১৬ সালের প্রথমার্ধের চেয়ে চলতি বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৬ টাকা ৫ পয়সা। চলতি বছরের জুন শেষে এটির শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ২৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২৫ টাকা ৩২ পয়সা। সেই হিসাবে আগের বছরের ছয় মাসের তুলনায় এ বছরের প্রথমার্ধে গ্ল্যাক্সোর আয় ২৪ শতাংশ কমে গেছে।

১৯৭৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের বহুজাতিক এ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন প্রায় ১২ কোটি টাকা, যা ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ারে বিভক্ত। এটির মোট শেয়ারের ৮২ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। আর বাকি ১৮ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে প্রায় ১৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক এবং ১ শতাংশের কম শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে। ফলে প্রতিদিন বাজারে কোম্পানিটির খুব কম পরিমাণ শেয়ারেরই হাতবদল হয়। গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের ২০১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওষুধ আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ন্ত্রণ আরোপের ফলে ওই বছরটি ছিল কোম্পানির জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং।

এর বাইরে আয় কমার তালিকায় রয়েছে বার্জার পেইন্টস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ও লিনডে বাংলাদেশ। এর মধ্যে বার্জার পেইন্টসের আয়ের তুলনামূলক চিত্রটি মূলত ত্রৈমাসিক। কারণ বহুজাতিক এ কোম্পানিরও আর্থিক বছর হিসাব করা হয় এপ্রিল থেকে মার্চ সময়ে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: