facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব দেবে ডিবিএ-বিএমবিএ


০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার, ১০:৩৮  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব দেবে ডিবিএ-বিএমবিএ

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, বাজারের পতন ত্বরান্বিত করেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে লাগাম টানতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু সিদ্ধান্তের কারণে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগের সক্ষমতা হারিয়েছেন। তাদের বিনিয়োগ করার সুযোগ দিতে হবে। প্রয়োজনে নীতি ও আইনে কিছু সংশোধন আনতে হবে। ডিবিএ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বিএমএবি এ বিষয়ে কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব পাঠাবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এটা অহেতুক দরপতন। ভয়েই বিনিয়োগকারীদের একটা অংশ শেয়ার বিক্রি করছেন। কিন্তু কী কারণে দরপতন, তা কেউই সুস্পষ্ট করে বলতে পারছেন না। স্রেফ কান কথা শুনে অনেকে শেয়ার বিক্রি করছেন। অনেকটা চিলে কান নিয়েছে শুনে সকলে চিলের পেছন ছুটছে।

পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যের বুদ্ধি ছেড়ে বিনিয়োগকারীদের নিজের বিচার-বুদ্ধির ওপর নির্ভরতা বাড়াতে হবে। কেউ যদি বলে, দরপতন চলতেই থাকবে তাহলে তা বাস্তবতাকে সমর্থন করে কি-না, তা বিবেচনায় নিতে হবে। রাজনীতি বা অন্য যে কোনো কারণে বাজার এতটা পড়ার কোনো কারণ নেই।

গতকাল সোমবারও দেশের দুই শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। রোববারের বড় পতনের পর গতকাল ডিএসইর মূল্য সূচক আরও ১৮ পয়েন্ট হারিয়েছে। তবে এটা দিন শেষের চিত্র বলেই মন্দের ভালো। কারণ দিনের লেনদেনের শুরুর মাত্র ২২ মিনিটেই এ সূচক ১১৭ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ হারিয়ে ৫৭৭১ পয়েন্টে নামে। ওই সময় পর্যন্ত লেনদেনে আসা ৯২ শতাংশ শেয়ারের দর কমে যায়। দিনের শেষে এ হার ছিল ৬১ শতাংশ।

লেনদেন শুরুর প্রথম ঘণ্টাকে বাজার সংশ্নিষ্টদের অনেকেই `শ্বাসরুদ্ধকর` বলেছেন। তারা বলেন, ২০১১ সালের ধসের মতো মনে হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শীর্ষ এক মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, তার প্রতিষ্ঠানের ট্রেডিং প্লাটফর্মে বসে থাকা সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। প্রতিটি মুহূর্তে সূচক পড়ছিল। গড়ে প্রতি মিনিটে পড়ে যায় ৮ পয়েন্ট করে। মৌল ভিত্তি বিবেচনায় বাজারের সবচেয়ে ভালো শেয়ারগুলোও অস্বাভাবিক হারে দর হারাতে থাকে। ক্রেতার সংখ্যা কমছিল, আর বাড়ছিল শেয়ার বিক্রির আদেশ। ওই মুহূর্তে কারা শেয়ার বিক্রি করছিল, আর কারা কিনছিল- তাই ছিল সবার প্রশ্ন।

বাজারের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, গতকাল লেনদেনের শুরুতে আইসিবি, লংকাবাংলা, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ও ইস্টার্ন ব্যাংকের মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউসগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক হারে শেয়ার বিক্রি করেন। অন্যসব ব্রোকারেজ হাউস থেকেও শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল। অনেক শেয়ারের ক্রেতা কমতে থাকে। অবশ্য শুরুতে যারা শেয়ার বিক্রি করেছিলেন, তারাই বাই-ব্যাক (পুনরায় শেয়ার কেনা) করায় দরপতনের মাত্রা কমে।

দিনের লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর প্রথম চার মিনিটে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে ৫৯০৯ পয়েন্ট ছাড়ায়। এর পরই আসে ঝড়। পরের মাত্র ১৮ মিনিটে আগের অবস্থান থেকে ১৩৮ পয়েন্ট হারিয়ে সূচকটি ৫৭৭১ পয়েন্টে নামে। গত রোববার লেনদেনের পুরো চার ঘণ্টায় মূল্য সূচক ১৩৩ পয়েন্ট হারায়। গতকালের লেনদেনের প্রথম ২২ মিনিটেই সে পতনকে ছাড়িয়ে যায়।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: