facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪

Walton

প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে


২২ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার, ০২:১৬  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে

দেশের শেয়ারবাজারে গত মার্চে বস্ত্র খাতের সায়হামটেক্স, স্টাইল ক্রাফট, আলিফ, সিমটেক্স, ড্রাগন সোয়েটার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, কুইন সাউথ ও অলটেক্সে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে। কোম্পানিগুলোতে এদের শেয়ার সর্বমোট শেয়ারের পৌনে ২ থেকে প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর প্রভাবে এগুলোর অধিকাংশের বাজারদরও বেড়েছে।

বিপরীতে খাতটির এপেক্স স্পিনিং, ঢাকা ডাইং ও আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে, যা মোট শেয়ারের আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ। অংশ কমার নেতিবাচক প্রভাবও শেয়ারগুলোর দরে দেখা গেছে।

অন্য খাতগুলোর মধ্যে বিডি থাই, বেক্সিমকো, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, বিডিকম, মেঘনা লাইফ, রূপালী লাইফ, পদ্মা লাইফ, এফএএস ফাইন্যান্স, সালভো কেমিক্যাল ও সাইফ পাওয়ারটেক কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে। এসব কোম্পানিতে এদের অংশ মোট শেয়ারের দেড় থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার বেড়েছে।

বিপরীতে সামিট পাওয়ার, অ্যাকটিভ ফাইন, খুলনা প্রিন্টিং, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, মেট্রো স্পিনিং, নাহী অ্যালুমিনিয়াম, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, সন্ধানী লাইফ, ইনটেক, বিডি ল্যাম্পস, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু সিরামিক, এসআইবিএল, ইবনে সিনা, ওইমেক্স ও নিটল ইন্স্যুরেন্স থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে। কমার পরিমাণ কোম্পানিগুলোর মোট শেয়ারের পৌনে ২ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত।

গত মার্চ শেষে তালিকাভুক্ত ২৯৬ কোম্পানির শেয়ার ধারণের হার পর্যালোচনায় এ তথ্য মিলেছে। গতকাল পর্যন্ত তালিকাভুক্ত বাকি সাত কোম্পানির শেয়ার ধারণের সার্বিক চিত্র মেলেনি। কোম্পানিগুলো হলো- ঝিলবাংলা সুগার, শ্যামপুর সুগার, ডেসকো, জুট স্পিনার্স, তুংহাই নিটিং, সিএনএটেক্স ও সাভার রিফ্যাক্টরিজ।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে ১৫১ কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়েছে। এর মধ্যে সংশ্নিষ্ট কোম্পানির মোট শেয়ারে এদের অংশ অন্তত ১ শতাংশ বেড়েছে- এমন কোম্পানি ২৮টি। বিপরীতে ৯০ কোম্পানি থেকে কমেছে। অন্তত ১ শতাংশ কমেছে- এমন কোম্পানি ২৯টি।

সার্বিক অবস্থা :গত মাসে বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে ৫ কোটি ৮৮ লাখ বা অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে ৫৮ কোটি টাকা। মার্চ শেষে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন ছিল ৫৮ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা বা শেয়ার ছিল ৫ হাজার ৮৮৭ কোটি। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশ ১০ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা বা মোট শেয়ারের ১৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।

তবে শেয়ার বাড়লেও সার্বিক নিম্নমুখী ধারার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা শেয়ারের বাজারমূল্য কমেছে ২ হাজার ৫১ কোটি টাকা। মার্চ শেষে এদের শেয়ারের মোট বাজার মূল্য ছিল ৪৬ হাজার ৫২১ কোটি টাকা। যেখানে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশ ১৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

বৃদ্ধিতে শীর্ষে :গত মার্চে শতাংশের হিসাবে একক কোম্পানিতে সর্বাধিক প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বেড়েছে সায়হাম টেক্সটাইলে। কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার মোটের ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি শেষে যা ছিল ১৯ শতাংশেরও কম। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বাড়লেও শেয়ারটির দর তেমন বাড়েনি। মার্চের শুরুর ১৯ টাকা থেকে মার্চের শেষে ২১ টাকায় উন্নীত হয়। অবশ্য চলতি এপ্রিলে দর হারাচ্ছে।

প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল স্টাইল ক্রাফট। ফেব্রুয়ারির তুলনায় কোম্পানিটিতে সোয়া ৯ শতাংশ বেড়ে পৌনে ১৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ায় কোম্পানিটির শেয়ারদরে বড় উল্লম্ম্ফন হয়েছে। মার্চের শুরুর সাড়ে ১৩শ` থেকে মার্চ শেষে ১৬শ` টাকা ছাড়িয়েছে।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার সাড়ে ৬ শতাংশ বেড়ে ১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মার্চের প্রথম তিন সপ্তাহ শেয়ারটি ক্রমাগত দর হারালেও শেষ সপ্তাহে ঘুরে দাঁড়ায়। ২২ টাকা থেকে শেয়ারটির দর ওঠে ২৬ টাকা।

কয়েকদিন ধরে শেয়ারটির দর কমছে।

প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এর পরের অবস্থানে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। ফেব্রুয়ারির তুলনায় কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার মোটের ৬ শতাংশ বেড়ে সাড়ে ১৭ শতাংশ ছাড়িয়েছে। মাঝে কিছুদিন দর বাড়লেও সার্বিক হিসাবে গত বছরের প্রথম থেকে ধারাবাহিকভাবে কমছে শেয়ারটির দর, যা গত মার্চেও অব্যাহত ছিল। কিন্তু এপ্রিলের শুরু থেকে দর বাড়তে শুরু করেছে।

পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটালে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে, যা মার্চ শেষে ছিল ২৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে মার্চের শেষে ও এপ্রিলের শুরুতে কিছুটা দর বাড়লেও এক বছর ধরে ক্রমাগত দর হারাচ্ছে শেয়ারটি।

কমায় শীর্ষে :গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় এপেক্স ফুড থেকে সর্বাধিক প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে। মার্চে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ৮ শতাংশ কমে সাড়ে ১০ শতাংশে নেমেছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শেয়ারটির দর বাড়ছে। ১৪০ টাকার শেয়ার মার্চের শুরুতেই ২২০ টাকা ছাড়ায়। তবে মার্চজুড়ে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমলেও শেয়ারটির দর কমেনি। এদিকে এপ্রিলের শুরু থেকে আবারও বেড়ে এখন তা আড়াইশ` টাকায়।

প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার হ্রাসে মার্চে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সামিট পাওয়ার। কোম্পানিটি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার সাড়ে ৬ শতাংশ কমে সাড়ে ১৮ শতাংশে নেমেছে। মার্চজুড়ে শেয়ারটির দর কমেছে। তবে এপ্রিলের শুরু থেকে বাড়ছে। একটিভ ফাইন থেকে মার্চে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে, যার নেতিবাচক প্রভাবও ছিল শেয়ারটির দরে। এপ্রিলের প্রথম দুই সপ্তাহে দর প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়ে এখন কমছে।

একই চিত্র ছিল এপেক্স স্পিনিংয়ে। মার্চে এ কোম্পানি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে সাড়ে ৪ শতাংশ। ওই মাসে শেয়ারটির দর কমলেও এখন বাড়ছে। প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার হ্রাসে মার্চে পঞ্চম অবস্থানে ছিল খুলনা প্রিন্টিং। ফেব্রুয়ারির তুলনায় প্রায় ৪ শতাংশ কমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার মার্চ শেষে সোয়া ৪ শতাংশে নেমেছে। এ শেয়ারটির দরও কমছে গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

শেয়ারবাজার -এর সর্বশেষ