২৪ জানুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার, ০৫:২৮ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
রাজধানীর মতিঝিল ও দিলকুশার একাধিক ব্রোকারেজ হাউস ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে প্রতিদিনই নতুন টাকা ঢুকছে। দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশও এখন শেয়ারবাজারমুখী। পাশাপাশি নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীদের অনেকে সক্রিয় হয়েছেন। নতুন করে বাজারে টাকা খাটাচ্ছেন। ‘সূচক নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। লেনদেন নিয়েও উদ্বেগের কিছু নেই।’ গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নেতারা এ দাবি করার পর অর্থমন্ত্রীর ইতিবাচক বক্তব্যে আরো তেতে ওঠেছে শেয়ারবাজার।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, গত দুই দিনের সূচকের বড় ধরনের উত্থানে মুখ্য ভূমিকা ছিল তালিকাভুক্ত ব্যাংকের শেয়ারের। ব্যাংক ছাড়াও বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধিও সূচকের বড় উল্লম্ফনে সহায়তা করেছে।
মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবারের বাজারে সূচক বৃদ্ধি ও লেনদেনে নায়কের অবস্থানে ছিল ব্যাংকের শেয়ার। এদিন দরবৃদ্ধিরও শীর্ষে ছিল এই খাতটি। এ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম গড়ে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ করে বেড়েছে। ডিএসইর মোট লেনদেনের মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা বা ২৩ দশমিক ৫ শতাংশই ছিল ব্যাংক খাতের।
এদিকে শেয়ারবাজারের তেজিভাবের মধ্যে গত রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ২০২০ সালের মধ্যে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার সৃষ্টি হবে। যেখান থেকে আমরা বিভিন্ন বিনিয়োগে আগ্রহ নিতে পারি। হ্যাঁ, মাত্র তিন বছর বাকি। এই তিন বছরেই হবে বলে আমার বিশ্বাস।’ অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য সোমবার বাজারকে আরও তেজি করে তোলে।
বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাজার ভয় পাওয়ার মতো অবস্থানে পৌঁছেনি। তবে যেভাবে বাজারে শেয়ারের দাম দ্রুত বেড়ে চলেছে, সে ধারা অব্যাহত থাকলে তাতে ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের দুই দফা বাজার-ধসের আগে আমরা বাজারের যে গতি দেখেছি, এবারও সে ধরনের গতি দেখা যাচ্ছে। তাই নতুন করে যাঁরা বাজারে ঝুঁকছেন, শেয়ার বাছাই ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের সতর্ক হওয়া উচিত।’
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।