১০ মে ২০১৭ বুধবার, ০৯:৫৪ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার বিষ্ণপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন- বিষ্ণপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন ওরফে রনি, হারুন অর রশিদ, মিজান ওরফে মিজান কসাই ও বেনীখোলা গ্রামের জয়নাল আবেদীন।
ধর্ষণের বিষয়টি আপোস করতে ওই গৃহবধূর বাবাকে চাপ সৃষ্টি করে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার সময় পুলিশ ওই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারদের বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানরায়, জেলার বাঙ্গরাবাজার থানার বিষ্ণপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন ওরফে রনি ও তার তিন বন্ধু গত বছরের ৬ ডিসেম্বর দুপুরে একই গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীকে ওই গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে সাগরের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষের মধ্যে তারা ভিকটিমকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় তারা ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে।
ভিকটিমের বাবা বাক্কী মিয়া জানান, এ ঘটনার পর লোক লজ্জার ভয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ১০-১২ দিন আগে ধর্ষকরা ওই ভিডিওচিত্রটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আমার কাছে টাকা দাবি করে। আমি টাকা না দেওয়ায় তারা ওই ভিডিওচিত্রটি প্রবাসে অবস্থানরত জামাতার কাছে পাঠিয়ে দেয় এবং তা ইন্টারনেটেও ছেড়ে দেয়।
তিনি জানান, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর ধামাচাপা দিতে ধর্ষকদের অভিভাবকসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তারা বুধবার আমাকে চাপ সৃষ্টি করে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ রনি নামে এক ধর্ষক ও অপর তিন ধর্ষকের অভিভাবককে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতজনকে আসামি করে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের বাবাকে চাপ সৃষ্টি করে জোরপূর্বক খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর ধর্ষক রবি, আক্তার ও সাগরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।