facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

পুঁজিবাজারের দুই বীমা কোম্পানির মালিকানায় ব্যাপক পরিবর্তন


১৯ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার, ০৭:৪০  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


পুঁজিবাজারের দুই বীমা কোম্পানির মালিকানায় ব্যাপক পরিবর্তন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং ইসলামি ধাঁচের জীবনবিমা কোম্পানি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি এবং প্রাইম ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির মালিকানায় পরিবর্তন হয়েছে। কোম্পানি দুটির ১৪ জন পরিচালক সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন।

বিমা খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ব্যাংক খাতে মালিকানা পরিবর্তনের পেছনে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জড়িত ছিলেন, বিমা খাতের পরিবর্তনেও তাঁরাই রয়েছেন।

এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বিমা খাতের প্রধান নিয়ন্ত্রক হওয়া সত্ত্বেও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এসব পরিবর্তনের ব্যাপারে কিছু জানে না।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘পরিবর্তনের বিষয়গুলো কোম্পানির নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের কাছে ফারইস্ট বা প্রাইম লাইফের নতুন পরিচালকদের কিছু আসেনি।’

বিএসইসি মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত এ কোম্পানি দুটির পর্ষদ পরিবর্তনের কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই।

ফারইস্ট ও প্রাইম লাইফ—দুই কোম্পানিতেই পরিচালক হিসেবে রয়েছে সাইফ্যাং সিকিউরিটিজ, যার প্রতিনিধিত্ব করছেন নাসির বিন জালাল নামের একজন। সাইফ্যাং সিকিউরিটিজের অন্যতম পরিচালক এম কামাল উদ্দিন। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (এসআইবিএল) পরিচালক হিসেবে সাইফ্যাং সিকিউরিটিজের নাম রয়েছে। এম কামাল উদ্দিন মার্কেন্টাইল লাইফ ইনস্যুরেন্সেরও চেয়ারম্যান। চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ এসআইবিএলের মালিকানায় আসার পর ব্যাংকটিতে এম কামাল উদ্দিন পরিচালক হিসেবে আসেন।


ফারইস্ট লাইফ

ফারইস্ট লাইফের পর্ষদ ২০ সদস্যের। এর মধ্যে গত ২২ অক্টোবর পদত্যাগ করেছেন ছয় পরিচালক। ছয়জনের মধ্যে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিদায়ী চেয়ারম্যান এম এ খালেকের পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্টই পাঁচজন।

ফারইস্ট লাইফের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত পর্ষদ বৈঠকে নতুন ছয় পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এর মধ্যে একজন পরিচালক হলেন সাইফ্যাং সিকিউরিটিজের পরিচালক নাসির বিন জালাল।

তবে প্রতিষ্ঠানটির এমডি হেমায়েত উল্লাহ বলেন, ছয়জন পদত্যাগ করেছেন, ছয়জন এসেছেন। এর বাইরে কোনো প্রশ্নের জবাব নেই তার কাছে। যদিও চেয়ারম্যান অনুমতি দিলে তিনি সব বলতে পারবেন।

প্রাইম লাইফ

দুই স্বতন্ত্রসহ প্রাইম লাইফের পর্ষদ ১৭ সদস্যের। প্রাইম লাইফের গত বুধবার অনুষ্ঠিত পর্ষদ বৈঠকে নতুন আট পরিচালকের নিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। তার আগে গত ২৩ অক্টোবর পদত্যাগ করেন চেয়ারম্যানসহ প্রাইম লাইফের আট পরিচালক। প্রাইম লাইফের চেয়ারম্যানও ছিলেন এম এ খালেক।

পদত্যাগকারী পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন কোম্পানির চেয়ারম্যান এম এ খালেক, যিনি ম্যাকসন বে লিমিটেডের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। এম এ খালেকের স্ত্রী পরিচালক সাবিহা খালেক এবং মেয়ে সারওয়াত খালেদও পদত্যাগ করেন।

কোম্পানিটিতে যাঁরা নতুন আসেন, তাঁরা হলেন গোমতী টেক্সটাইলের এমডি মো. আখতার, আইডিআরএর সাবেক সদস্য সাবেক জেলা জজ মো. ফজলুল করিম, মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান মজুমদার, এ টি এম এনায়েতুর রহমান এবং আরিফ হোসেন ওরফে রনি।

বাকি চারজন নোমান করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে নোমান হাসান ভূঁইয়া, এসবি করপোরেশন নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী নাজমুল হাসান ভূঁইয়া, সাইফ্যাং সিকিউরিটিজের প্রতিনিধিত্বকারী নাসির বিন জালাল এবং স্বতন্ত্র পরিচালক এ টি এম এনায়েতুর রহমান। আগে পরিচালক ছিলেন এবং এখনো আছেন, তাঁদের মধ্যে দুজন ফারইস্ট লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের আত্মীয়।

পরিচালক ওয়াহিদ মুরাদ জামিল বলেন, গত বুধবার স্বল্প সময়ের একটা সভায় নতুন পরিচালকেরা অনুমোদন পেয়েছেন। বিশদ কিছু জানেন না তিনি। আরেক পরিচালক অলক সাহা বলেন, তিনি বিদেশে ছিলেন, এই ফাঁকে পর্ষদ সভা হয়েছে। তাই কিছু জানেন না।

প্রাইম লাইফের নতুন চেয়ারম্যান মো. আখতার কোনো কথা বলতে চাচ্ছেন না।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: