facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

পুঁজিবাজারে ফের বাড়ছে বিদেশি বিনিয়োগ


১৬ জুলাই ২০১৮ সোমবার, ০৮:৩৭  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


পুঁজিবাজারে ফের বাড়ছে বিদেশি বিনিয়োগ

আইনজীবী ও পুঁজিবাজার-বিশ্লেষক হাসান মাহমুদ বিপ্লব বলেছেন, আমাদের পুঁজিবাজারে প্রতিদিন এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হওয়া উচিত। বাজারে আবারও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। রোববার খুজিস্তা নূর-ই-নাহারীনের সঞ্চালনায় এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিাত ছিলেন ইউনিয়ন ক্যাপিটালের সাবেক এমডি আক্তার হোসেন সান্নামত।

হাসান মাহমুদ বিপ্লব বলেন, বেশ অনেক দিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হচ্ছিল, কিন্তু আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন তিন লাখ কোটি টাকার ওপরে। সেখানে বাজার যদি সচল থাকে তাহলে প্রতিদিন এক হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হওয়া উচিত। তবে গত কয়েক দিন বাজারে ৯০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকার মতো লেনদেন হচ্ছে, কিন্তু সূচক বাড়ছে না। কারণ সব শেয়ারের দর একসঙ্গে বাড়ছে না।

তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে দেখা গেছে বাজারে স্বল্পমূলধনি কোম্পানিগুলোর দাপট ছিল। পরে ধীরে ধীরে ফান্ডামেন্টাল কিছু শেয়ারের দর বাড়তে শুরু করল। এতে বোঝা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীরা বিশেষ করে যারা নিয়মিত ট্রেড করেন, তারা কিছুটা প্রফিট পাচ্ছেন বাজার থেকে। প্রায় পাঁচ-ছয় মাসের মতো পুঁজিবাজার খারাপ ছিল। বর্তমানে বাজার বেশ ভালো। ইতিবাচক দিক হচ্ছে, বাজারে এখন বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা দেখেছি, আগের মাসে বাজারে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছিল, কিন্তু এ মাসে তা বেড়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা একটু সচল হয়েছে। একটি মিডিয়াতে দেখা গেছে, আইসিবি আগামী অর্থবছরে ২০ হাজার কোটি টাকার টার্নওভারের ব্যবস্থা করছে এবং প্রায় চার হাজার কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করছে। সেদিক বিবেচনায় মনে হয় বাজার এখন ইতিবাচক। তবে বাজার ইতিবাচক হওয়ায় অনেক সময় স্বল্পমূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ে। কাজেই বিনিয়োগকারীদের এটির থেকে দূরে থাকাই ভালো বলে মনে করি।

অন্যদিকে আক্তার হোসেন সান্নামত বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে দেশের মুদ্রানীতি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মূলস্ফীতির হার ছিল পাঁচ দশমিক ৪৪ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রাটি ধরে রাখতে পারেনি। শেষ অর্থবছরের ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছিল পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ। এখানে দেশের জনগণ মুদ্রাস্ফীতিকে সাধারণত যেভাবে দেখে, আমি ঠিক ওভাবে দেখি না। কারণ একটি দেশের উন্নয়নকে যদি আমি মাথায় রাখি তাহলে মুদ্রাস্ফীতি অবশ্যই হবে। দেশের যত উন্নয়ন হবে মুদ্রাস্ফীতি তত হবেই এবং এটি স্বাভাবিক, কিন্তু এটি একটি সীমার মধ্যে থাকতে হবে। কাজেই এই পাঁচ দশমিক ৬,৭,৮ হওয়াটি খুব বেশি কিছু নয়। তাছাড়া দেশে এখন বেশকিছু বড় মেগা প্রকল্প হচ্ছে এবং এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ হবে। আর এজন্য কিছুটা মুদ্রাস্ফীতি হবেই।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: