facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

পুঁজিবাজার যারা নিয়ন্ত্রণ করছে তা ফাঁস করলেন বিশ্লেষকরা(ভিডিও)


১২ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার, ১১:২০  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


পুঁজিবাজার যারা নিয়ন্ত্রণ করছে তা ফাঁস করলেন বিশ্লেষকরা(ভিডিও)

আইসিএবির কাউন্সিলর মেম্বার মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন বলেছেন, মাঝে কয়েক দিন পুঁজিবাজারের সূচকগুলো ইতিবাচক ছিল কিন্তু হঠাৎ করে এমন কি ঘটল যে বাজারের এমন অবস্থা। নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো কারসাজি হচ্ছে। বিগত বছরের তুলনায় বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক ভালো। বিশেষ করে হরতাল, ভাঙচুর প্রভৃতি বিষয়গুলো এখন আর নেই। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা যারা পুঁজিবাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষ করে আইসিবি, মার্চেন্ট ব্যাংক এরাই মূলত: বাজারের এ অবস্থার জন্য দায়ী। তারা আসলে দায়িত্বশীল আচরণে বা ভূমিকায় নেই। গত তিন থেকে চার দিনে পুঁজিবাজারের অবস্থার কথা যদি বলি সেখানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সরকারের কোনো দোষ দেখি না। অতএব আমাদের মানসিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অতি লোভ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং শুধু লাভের আশায় না থেকে কিছুটা সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে তিন ধরনের লাভের কারণে বিনিয়োগকারী আসে। ডিভিডেন্ড, ক্যাপিটাল গেইন এবং ইন্টারেস্ট। এখানে মূলত লাভ হচ্ছে দুই ধরনের ডিভিডেন্ড ও ক্যাপিটাল গেইন। এখন কথা হচ্ছে কয়জন বিনিয়োগকারী ডিভিডেন্ড গেইনের জন্য আসে। এক শতাংশেরও কম বিনিয়োগকারী ডিভিডেন্ড গেইনের জন্য আসে। বেশিরভাগই আসে ক্যাপিটাল গেইনের জন্য। অর্থাৎ এ মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। অতি দ্রুত লাভের আসায় বিনিয়োগ করলে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। কারণ পুঁজিবাজার হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জায়গা। স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগের জায়গা নয়। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে লাভ কম হলেও ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে।

মঙ্গলবার এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। হাসিব হাসানের গ্রন্থনা ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সমকালের বিজনেস এডিটর জাকির হোসেন

আলোচকরা বলেন, পুঁজিবাজারে তিন ধরনের লাভের কারণে বিনিয়োগকারী আসে। ডিভিডেন্ড, ক্যাপিটাল গেইন এবং ইন্টারেস্ট। আমাদের দেশে মূলত লাভ হয় দুই ধরনের, ডিভিডেন্ড ও ক্যাপিটাল গেইন। কিন্তু দেশের পুঁজিবাজারে এক শতাংশেরও কম বিনিয়োগকারী আসে ডিভিডেন্ড গেইনের জন্য। বেশিরভাগই আসে ক্যাপিটাল গেইনের জন্য। এ মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। অতি দ্রুত লাভের আশায় বিনিয়োগ করলে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। কারণ পুঁজিবাজার হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জায়গা। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে লাভ কম হলেও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। ।

জাকির হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকা। এছাড়া অবলোপনের ঋণের টাকা যুক্ত করলে আরও ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো বেড়ে যাবে। যা সর্বকালের সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ। তবে বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ে সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি। এর পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। কেউ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে টাকা দিতে চায় না, আবার কেউ টাকা বিদেশে পাচার করছে। আসলে এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করতে চাইলেও পারে না, কারণ ব্যাংকের নিজের দুর্বল থাকতে পারে বা উপরের মহল থেকে চাপ থাকতে পারে। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতার প্রভাব কিছুটা পুঁজিবাজারে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক খাতের তেমন টার্নওভার নেই। শেয়ারের দামও বাড়ছে না বরং দিন দিন কমে যাচ্ছে। গত সোমবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারায় পদত্যাগ করেছেন। অর্থাৎ তিনি নৈতিকতা, জবাবদিহিতা, বিবেকবোধ এবং সরকারের পদলেহি না হয়ে নিজ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্ত এ দেশের ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না।

বর্তমান সময়ে পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ার দামে তেমন গতি দেখা যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে কোনো কারণে এর গতি দেখা গেলেও আবার আগের অবস্থায় চলে যায়। অথচ পুঁজিবাজারের খারাপ অবস্থার মধ্যেও অনেক কোম্পানির দর সার্কিট ব্রেকারের সীমা অতিক্রম করে লেনদেন হতে দেখা যায়।

বিনিয়োগকারীর আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে তারা বাজার সম্পর্কে ভালো করে না বুঝে এবং অন্যের কথা শুনে বা গুজবে বিনিয়োগ করে, ফলে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীর লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে।

এনটিভির সৌজন্যে দেখুন ভিডিও-

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: