facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪

Walton

পুঁজিবাজার থেকে অর্থ তুলবে ওয়ালটন


২৯ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার, ০৫:১২  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


পুঁজিবাজার থেকে অর্থ তুলবে ওয়ালটন

 

পুঁজিবাজারে আসছে দেশের ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক ওয়ালটনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে দ্রুততর অগ্রগতিতে দেশবাসীকে ও ওয়ালটনের উন্নয়নে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করাই এর উদ্দেশ্য। বহুজাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটনকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরও ব্যাপকভাবে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে শেয়ার বাজারে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অনুমোদিত মূলধন (অথরাইজড ক্যাপিটাল) দেখানো হচ্ছে ৬০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন (পেইড আপ ক্যাপিটাল) ৩০০ কোটি টাকা। শেয়ার বাজারে কোনও প্রাইভেট প্লেসমেন্ট দিচ্ছে না ওয়ালটন। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজারে শেয়ার উন্মুক্ত করা হবে। পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে আছে ট্রিপল অ্যা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্টার টু ইস্যু প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর মো. ইয়াকুব আলী এফসিএ বলেন, ‘বিশ্বমানের রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও এসি উৎপাদনে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দেশ-বিদেশে সমাদৃত। গত বছর ওয়ালটন চালু করে দেশের প্রথম ও একমাত্র কম্প্রেসর উৎপাদন কারখানা। ফলে এশিয়ায় অষ্টম ও সারাবিশ্বে ১৫তম কম্প্রেসর উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছি আমরা। ওয়ালটনের তৈরি ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত কম্প্রেসর, এর যন্ত্রাংশ, রেফ্রিজারেটর, এসিসহ বিভিন্ন পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। বিশ্ববাজার লক্ষ্য রেখে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজাইনের ফ্রিজ আর এসির উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’

ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক ব্যবসা ইউনিটের প্রধান এডওয়ার্ড কিম জানান, প্রযুক্তি পণ্য ও খুচরা যন্ত্রাংশ রফতানির মাধ্যমে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্য আছে ওয়ালটনের। যদিও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই লক্ষ্যপূরণের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও সিএফও আবুল বাশার হাওলাদার বলেছেন, ‘করপোরেট গভর্নেন্স কোড-২০১৮ সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করে ওয়ালটন। অর্জিত লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ (প্রফিট শেয়ারিং) কর্মীদের মধ্যে বন্টন করা হয়। আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয় গ্রিন টেকনোলজি। তাই এ বছর জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনে আমরা পেয়েছি এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জনগণের অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায় ওয়ালটন। তাই বাজারে প্রাথমিক শেয়ার (আইপিও) ছাড়ছে ওয়ালটন।’

ভবিষ্যতে সিঙ্গাপুর, হংকং, বেইজিং, সাংহাইসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের শেয়ার মার্কেটে তালিকাভুক্ত হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ওয়ালটনের।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: