facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

পদ্মা অয়েলের সাবেক এমডিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা


০৬ এপ্রিল ২০১৭ বৃহস্পতিবার, ০৮:২০  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


পদ্মা অয়েলের সাবেক এমডিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

রাষ্ট্রীয় তেল বিপণন কোম্পানি পদ্মা অয়েলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল খায়েরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের দুটি মামলাতেই আবুল খায়ের আসামি। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানায় মামলা দুটি করেন।

আবুল খায়ের বর্তমানে সরকারি আরেক তেল বিপণন কোম্পানি যমুনা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। দুদকের করা দুই মামলার একটিতে আবুল খায়েরসহ আসামির সংখ্যা পাঁচজন। অপর মামলাটিতে আসামি তিনজন। এর মধ্যে একটি মামলা করা হয়েছে পৌনে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে। অপর মামলায় আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৩২ লাখ।

দুদক সূত্র ও মামলার এজাহারে জানা যায়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ২০১২ সালে হাইড্রেন্ট লাইন নির্মাণের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে পদ্মা অয়েল। ২০১৬ সালের জুনে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। প্রকল্পের কাজের মোট খরচ দেখানো হয় ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার। কিন্তু দুদকের পক্ষ থেকে গত জানুয়ারি মাসে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দল দিয়ে পুনরায় পরিমাপ করে দেখা হয়। নতুন পরিমাপে সেখানে মোট ৬ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৮ মার্কিন ডলারের কাজ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ কম কাজ করে বেশি কাজ দেখিয়ে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫৬১ মার্কিন ডলার বা ২ কোটি ৭৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬২২ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পদ্মা অয়েলের তৎকালীন এমডিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বাকি দুই আসামি হচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সওয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফাহিম জামান পাঠান ও প্রকল্পের পরিচালক পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন।

অপর মামলাটি হয়েছে পদ্মা অয়েলের খুলনার দৌলতপুর তেলের ডিপোতে তিনতলা একটি ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ২০১৩ সালে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ওই ভবন নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৯০ লাখ ২৪ হাজার ৮২ টাকা পরিশোধ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে ওই ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৬ হাজার ১২১ টাকা। অর্থাৎ মোট ৩২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬১ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিল তৈরি ও অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত থাকায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পদ্মা অয়েলের তৎকালীন এমডি আবুল খায়ের ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মো. ইউনূস অ্যান্ড কোম্পানির মালিক মো. আনিছুর রহমান, পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তা কে এম আবদুর রহিম, সালেকী আহমেদ আইনুল আক্কাসী ও মো. নুরুল আমীনকে।

মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বলেন, অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। আত্মসাতের দুই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। এখন বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: