১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার, ০৪:০৫ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য সহায়ক সরকারের যে প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে এটা হাস্যকর।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে, যা বিএনপির মহাসচিবের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় করা সম্ভব নয়। সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে তাদের নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। এর বিকল্প কোনো রাস্তা নেই।’
সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়কের দাবি থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দেন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপির সাবেক নেতা নাজমুল হুদা নেতা বলেন, ‘দেশের সংবিধানে সহায়ক সরকার বলে কিছু নেই, বরং নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বাচনের যে বিধান রয়েছে তা দেশের সংবিধানিক আইন। নির্বাচিত সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্বই হচ্ছে মেয়াদান্তে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কোনো নির্বাচিত সরকারই এই কঠিন দায়িত্ব এড়াতে পারে না। যদি কোনো সরকার এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণ কোনদিন সেই সরকারের অধীনে অনির্বাচন মেনে নেবে না। জনগণের উত্তাল অন্দোলনে সেই রায় আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানিক ক্ষমতা থাকার পরেও মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পরামর্শ গ্রহণ করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করেন। এবং সার্চ কমিটির পরমর্শে তিনি যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন তার মাধ্যমে আগামীতে পক্ষপাতহীনভাবে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আগামী নির্বাচনসমূহ পরিচালনা করা সম্ভব হবে বলে আমি আশাবাদী। যা বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন ও সুস্থ রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে জাতি আশা করে।’
বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশেই নির্বাচিত সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে জানিয়ে নাজমুল হুদা বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন, তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়া উচিত। তাদের কার্যক্রম না দেখেই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে অহেতুক প্রশ্ন তোলা সম্পূর্ণ উদ্যেশ্য প্রণোদিত, যা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।