facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

নতুন করে শেয়ারদরে অস্থিরতা


১৮ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার, ০৩:০৮  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


নতুন করে শেয়ারদরে অস্থিরতা

নতুন করে শেয়ারদরে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধির ওপর ভর করে কখনও সূচকে উত্থান হচ্ছে, পরক্ষণে কমছে। সংশ্নিষ্টরা জানান, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের নানা পটপরিবর্তনে বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধান্বিত। বিশেষ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির প্রভাবশালী বড় বিনিয়োগকারীদের অবস্থান পরিস্কার নয়। এর প্রভাব পড়ছে লেনদেনে।

গতকাল মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৬৮ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারদর কমেছে, যা লেনদেন হওয়া মোটের ৫০ শতাংশ। বিপরীতে ১২৬টির বা ৩৮ শতাংশের দর বেড়েছে। অপরিবর্তিত ছিল ৪১টি শেয়ারের দর। অথচ লেনদেন হওয়া ৩০০ কোম্পানির মধ্যে লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ২৯২টির বাজারদর আগের দিনের তুলনায় বেশি ছিল। শেষের দিকে এসে অবস্থার পরিবর্তন হয়।

প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের উত্থান-পতন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর প্রথম ২৫ মিনিট শেষে সোমবারের তুলনায় প্রায় ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫৮২১ পয়েন্ট ছাড়ায়। এর পর অনেক শেয়ার দর হারালে সূচকও কমতে থাকে। শেয়ারদর কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় শেষ পর্যন্ত সূচকটি সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৫২ পয়েন্ট হারিয়ে ৫৭৬৯ পয়েন্টে নামে। যদিও ক্লোজিং প্রাইসের হিসাবে সূচকটি পৌনে ৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৫৭৭৮ পয়েন্টে থেমেছে।

সূচক হ্রাসে একক কোম্পানি হিসেবে সর্বাধিক ভূমিকা ছিল ব্যাংক খাতের বৃহৎ মূলধনী কোম্পানির। এর মধ্যে সিটি ব্যাংকের কারণে প্রায় আড়াই পয়েন্ট ও ব্র্যাক ব্যাংকের কারণে প্রায় দুই পয়েন্ট কমেছে। সূচক হ্রাসে বড় প্রভাব ছিল ইস্টার্ন, শাহজালাল, মার্কেন্টাইল, ন্যাশনাল, উত্তরা ও ঢাকা ব্যাংকের। এ ছাড়া পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও বিএসআরএম লিমিটেডের শেয়ারদর কমার কারণে সূচকে উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিপরীতে সূচকের বড় পতন ঠেকিয়েছে রেনেটা, গ্রামীণফোন, আল-আরাফাহ ব্যাংক, লাফার্জ-হোলসিম, বেক্সিমকো ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ব্যাংক এশিয়া, ডেল্টা লাইফ, ইউনাইটেড পাওয়ার এবং সামিট পাওয়ারের শেয়ারদর বৃদ্ধি। এসব শেয়ার সূচকে যোগ করেছে প্রায় ১৩ পয়েন্ট।

একক কোম্পানি হিসেবে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স। সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দর সাড়ে ২৫ টাকায় শেয়ারটি কেনাবেচা হয়েছে। এ ছাড়া প্রথম প্রাইম ফাইন্যান্স ও সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডও দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে। ছিল দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় ও তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে। এসব শেয়ার ও ফান্ডের বাজারদর বেড়েছে ৯ থেকে ১০ শতাংশ।

দর বৃদ্ধির এর পরের অবস্থানে থাকা কেঅ্যান্ডকিউ, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, সিএপিএম বিডিবিএল ফান্ড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ঝিলবাংলা সুগার, বঙ্গজ ও এসইএমএল আইবিবিএল ফান্ডের বাজারদর সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সাড়ে ৪ শতাংশ দর হারিয়ে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স ছিল দরপতনের শীর্ষে। দরপতনের এর পরের অবস্থানে থাকা এফএএস ফাইন্যান্স, স্টাইল ক্রাফট, রিজেন্ট টেক্সটাইল, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, শাশা ডেনিম, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, রেনউয়িক যজ্ঞেশ্বর, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, দেশ গার্মেন্টস, জেমিনি সি ফুডস এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ারদর প্রায় ৩ থেকে সোয়া ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

খাতওয়ারি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারদর বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৩৫ ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ৪টির। এ ছাড়া সিমেন্ট খাতের সাত কোম্পানির মধ্যে পাঁচটিরই দর বেড়েছে। বীমা খাতের ২৭ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১৫টির দর কমেছে। বিপরীতে প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্রসহ অন্য প্রায় সব খাতের অধিকাংশ শেয়ারদর কমেছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: