facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

দরপতনের মধ্যেও ১৫ শেয়ার কেনার চাপ বেড়েছে


১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার, ০৮:১৪  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


দরপতনের মধ্যেও ১৫ শেয়ার কেনার চাপ বেড়েছে

বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও গতকাল বুধবার দেশের দুই শেয়ারবাজারের সূচক কমেছে। ব্যাংক এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শেয়ারের দর কমাই এর প্রধান কারণ। পাশাপাশি বহুজাতিক কোম্পানিসহ স্কয়ার ফার্মার মতো বেশ কিছু বৃহৎ মূলধনী কোম্পানির দর হ্রাসও সূচককে নিম্নমুখী করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বীমা খাতের প্রায় সব শেয়ারের দর বেড়েছে। খাতটির ৪৭ কোম্পানির মধ্যে ৩৯টিরই বাজারদর বেড়েছে, কমেছে ছয়টির এবং অপরিবর্তিত ছিল বাকি দুটির দর। প্রায় সব শেয়ারের দরবৃদ্ধির কারণে খাতটির সার্বিক শেয়ারদর বেড়েছে ৪ শতাংশেরও বেশি, যা ডিএসইর প্রধান সূচকে যোগ করেছে ৭ পয়েন্ট। ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল পাঁচ বীমা কোম্পানি। এর সবই সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে।

দরপতনের মধ্যেও অন্তত ১৫ কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে। এরমধ্যে ১০টি শেষ পর্যন্ত ওই দরে কেনাবেচা হয়। এগুলো হলো- আল-হাজ্ব টেক্সটাইল, আনলিমা ইয়ার্ন, গোল্ডেন সন, এইচআর টেক্সটাইল, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। লেনদেনের কিছু অংশে এ দরে কেনাবেচা হওয়া বাকি পাঁচ শেয়ার হলো- অলটেক্স, এমবি ফার্মা, বিচ্‌ হ্যাচারি, ফার কেমিক্যাল ও পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। বিপরীতে সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হয়েছে এডভেন্ট ফার্মা ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস কোম্পানির শেয়ার।

এদিকে সাম্প্রতিক বিষয়ে আলোচিত শেয়ারগুলোর মধ্যে গতকাল খুলনা পাওয়ারের শেয়ারদর দুই টাকা বেড়ে সর্বশেষ ৫৬ টাকা ৬০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। টানা কয়েকদিন সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হওয়ার পর গতকাল ইস্টার্ন কেবলসের শেয়ারদর ১১ টাকা কমে ২৬৬ টাকায় নেমেছে। আবার মালিকানা বদল ইস্যুর গুঞ্জনে অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি পাওয়া রেকিট বেনকিজারের শেয়ারদর একদিন কমার পর আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর প্রায় ৭৯ টাকা বেড়ে দুই হাজার ৪০৭ টাকায় উঠেছে।

এছাড়া মুন্নু সিরামিকের শেয়ারদরের পতন অব্যাহত আছে। টানা এক মাস ধরে শেয়ারটির দর কমছে। গতকাল শেয়ারটির দর ৫ শতাংশ কমে ২৬৩ টাকায় নেমেছে।

যদিও সার্বিক লেনদেনের হিসেবে সূচকটি টানা পঞ্চম দিনের মতো গতকাল ডিএসইএক্স কমেছে। প্রায় ১০ পয়েন্ট হারিয়ে সূচকটি ৫২৬৬ পয়েন্টের নিচে নেমেছে। সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স আড়াই পয়েন্ট কমে ৯৭৭৯ পয়েন্টে নেমেছে। গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৪৮ শতাংশ শেয়ারের দরবৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে প্রায় ৩৮ শতাংশের দর, বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত। সিএসইর চিত্রটাও ছিল একই রকম। খাতওয়ারী লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ব্যাংক খাতের ৩০ কোম্পানির মধ্যে ১৯টিরই দর কমেছে, বেড়েছে মাত্র পাঁচটির দর। সার্বিক বিচারে খাতটির শেয়ারদর কমেছে মাত্র আধা শতাংশ। এরমধ্যে ব্র্যাক, ঢাকা ও ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারদর ২ শতাংশের ওপর কমেছে। এর বিপরীতে ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে আড়াই শতাংশ। সার্বিক দরপতনে ব্যাংক খাত ডিএসইএক্স সূচক কমিয়েছে প্রায় ১১ পয়েন্ট।

ব্যাংক খাতের মতো খারাপ দশা ছিল ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতেও। খাতটির চার শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৩টির দর কমেছে। অন্যদিকে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ১১ শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে সাতটির। প্রকৌশল খাতের ১৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭টির দর। ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ১২টির। বস্ত্র খাতের ২৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৯টির দর। ছোট খাতগুলোতে ছিল মিশ্রধারা।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: