facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪

Walton

ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের শীর্ষ পদের দৌড়ে এগিয়ে যারা


২৪ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার, ০৯:০৯  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের শীর্ষ পদের দৌড়ে এগিয়ে যারা

কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগেই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আগামী ২৫ ও ২৬ এপ্রিল এই অংশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সম্মেলনের প্রস্তুতিও শুরু করেছে তারা। গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন উপ-কমিটিও।

এদিকে এই সম্মেলন ঘিরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের ছাত্রলীগে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী নেতারা শুরু করেছে জোর লবিং। নিজ নিজ বলয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও এমপি-মন্ত্রীদের বাসা অফিসে ধর্ণা দিচ্ছেন তারা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তবে আলোচনায় থাকলেও দীর্ঘ দিন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করা আসাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অদক্ষতা ও কর্মীদের সঙ্গে দূরত্বের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া আসাদ নগর ভবন কেন্দ্রীক রাজনীতি করেন বলেও অভিযোগ সংগঠনেরই বর্তমান কমিটির বেশ কয়েকজন নেতার। সম্প্রতি নগর ভবনে টেন্ডারকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের দু`পক্ষের সংঘর্ষেরে ঘটনা ঘটে। এতে আসাদের গ্রুপের কয়েকজন আহত হয়। এছাড়া কদমতলী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মারুফ আলোচনায় থাকলেও তার বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে কদমতলী থানায় একটি মামলা রয়েছে। গত বছরের ২৪ নভেম্বরে করা এই মামলার এজাহারে মারুফকে ২ নম্বর আসামী করা হয়েছে। এছাড়া এর আগে ২০১৩ সালের এক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যতন আইনে দায়ের করা এক মামলার আসামীও ছিলেন তিনি। যদিও পরে সেই মামলা মীমাংসা হয়।

এর বাইরে দক্ষিণের বর্তমান সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খানের আশীর্বাদপুষ্ট সাংগঠনিক সম্পাদক এম. সাইফুল ইসলাম সাইফ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সভাপতি পদে বর্তমান হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে আরো আলোচনায় রয়েছেন মতিঝিলের থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পলাশ মজুমদার ও মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, নগর এর সহ ও সভাপতি আরমান হোসেন, পল্টন থানার সভাপতি শেখ মিরন, সুত্রপুর থানার সাধারন সম্পাদক সজল সহ অনেকে। কিন্তু রাজধানীর প্রানকেন্দ্র মতিঝিল থেকে এবার কেও একজন নেতৃত্বে আসছে সে ব্যপারে মোটামুটি এক রকম নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে। সিদ্দিকী নাজমুলের আশির্বাদ পুষ্ট এবং ৯নং ওয়ার্ড কমিশনার এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ এর ভাগ্নে মতিঝিল থানার সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান অনেকটা এগিয়ে।

সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে একটা সমাঝোতা আওয়াজ ও মতিঝিল পাড়ায় আলোচনা চলছে। অপর দিকে মতিঝিল থানার ছাত্রলীগ সভাপতিও এগিয়ে আছে তার কর্মী বান্ধব ন্যায় নীতি আর সততার নির্লোভ আচরনের পরিক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে। এ ব্যাপারে মতিঝিল থানা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি বশিরুল আলম বাবুল আমাদের জানান, "পলাশ শিক্ষিত পরিবার এবং তৃনমূল থেকে উঠে আসা ছেলে। অপরদিকে হাসান প্রভাবশালী কমিশনার এর ভাগ্নে। পলাশ মতিঝিলের থানার প্রার্থী হওয়ার সময় ওদের গ্রুপে প্রার্থী ছিলো প্রায় ২০ জন। অপর দিকে হাসান এর বিপক্ষে কেও মাঠে ছিলো না। আর যেখানে পলাশের রাজনৈতিক একটা অফিস পর্যন্ত নেই সেখানে হাসান প্রায় ১২ তলা একটা বিল্ডিং দখল করে নিজের অফিস পরিচালনা করছে। ক্লাব পাড়া ফুটপাত থেকে সব জায়গাতে হাসানের রয়েছে দখল দারিত্বের ছাপ। আমরা থানা আওয়ামীলীগ সহ মতিঝিলের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের একটা আন্তরিকতা আছে পলাশের প্রতি।" এছাড়া তিনি আরও বলেন, "পরিচ্ছন্ন নেতৃত্বই আমাদের একমাত্র কাম্য।"

সামনে নির্বাচন তাই এখন থেকেই ভাল করে যাচাই বাছাই করে মহানগরের নেতৃত্ব ঠিক করা হবে বলে জানান এই আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: