facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

ডিএসইর প্রধান সূচক ৬ হাজারের সীমায় আটকে যাওয়ার কারণ


১৭ আগস্ট ২০১৭ বৃহস্পতিবার, ০২:৩৮  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


ডিএসইর প্রধান সূচক ৬ হাজারের সীমায় আটকে যাওয়ার কারণ

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি এসে ধাক্কা খাচ্ছে বারবার। ৬ হাজারের কাছাকাছি গিয়েই পতন ঘটছে এ সূচকটি। ফলে ৬ হাজারের সীমা পেরোতে পারছে না সূচকটি।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ডিএসইএক্সের ৬ হাজার পয়েন্টকে ‘মনস্তাত্ত্বিক সীমা’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। এ কারণে ৬ হাজার পয়েন্টকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একধরনের ভীতি কাজ করছে। ফলে সূচকটি ৬ হাজারের কাছাকাছি গেলেই বিক্রির চাপ বেড়ে যায় বাজারে। এতে পতন ঘটে সূচকটির।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ১৩ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচকটি এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৯২২ পয়েন্টে উঠে পৌঁছে গিয়েছিল ৬ হাজারের কাছাকাছি। এরপর দুই দিনের ছুটি শেষে গতকাল বুধবার লেনদেনের পর আবারও সূচকটির পতন ঘটে। এর আগে ৭ আগস্টও ডিএসইএক্স সূচকটি ৫ হাজার ৯১৩ পয়েন্টে ওঠার পরদিন পতন ঘটে। গতকাল ঢাকার বাজারের প্রধান সূচকটি প্রায় ৩৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৮৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

জানতে চাইলে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘গত কয়েক দিনের বাজার পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, ডিএসইএক্স সূচকটি ৬ হাজারের মনস্তাত্ত্বিক এক সীমায় গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে। এর আগে ৫ হাজার এবং সাড়ে ৫ হাজার পয়েন্টের সীমা অতিক্রমের সময়ও আমরা এ রকম পরিস্থিতি দেখেছিলাম।’

বাজারসংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সূচকের একেকটি অবস্থানকে মাইলফলক হিসেবে বিবেচনায় ধরা হয়। এ মাইলফলককে কেন্দ্র করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা ও দ্বিধা তৈরি হয়। এতে করে সূচক মাইলফলকের কাছাকাছি পৌঁছালে সক্রিয় অনেক বিনিয়োগকারীও মুনাফা তুলে নিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।

২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ৪ হাজার ৫৬ পয়েন্টের অবস্থান থেকে যাত্রা শুরু হয় নতুন সূচক ডিএসইএক্সের। এরপর ৫ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক অতিক্রম করতে সময় লাগে ২০ মাসের বেশি। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে গিয়ে ডিএসইএক্স সূচকটি প্রথমবারের মতো ৫ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করে। যদিও খুব বেশি দিন তা ধরে রাখতে পারেনি। ফলে আবারও তা ৫ হাজারের নিচে নেমে আসে। দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এসে ৫ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক অতিক্রম করে সূচকটি। এ পর্বে তা স্থায়ী রূপ নেওয়ায় আর সেটি ৫ হাজারের নিচে নামেনি। এরপর স্থায়ীভাবে সাড়ে ৫ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক পেরোতে কিছুটা সময় লাগে। এবার এসে ৬ হাজারের মাইলফলককে কেন্দ্র করে সূচকের উত্থান-পতন ঘটছে।

ঢাকার বাজারে বুধবার দিনের শুরুটা ছিল সূচকের ঊর্ধ্বগতি দিয়ে। একপর্যায়ে ডিএসইএক্স সূচকটি বেড়ে ৫ হাজার ৯৫৩ পয়েন্টে উঠে যায়। এরপর পতন শুরু হয় বাজারে। এতে দিন শেষে সূচকটি আগের দিনের চেয়ে প্রায় শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে যায়।

বুধবার লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির দরপতন ঘটলেও নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিবিএস কেবলসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এদিনও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সাড়ে ১১ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১২৬ টাকা ৫০ পয়সা। অথচ প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার বিক্রি হয়েছিল মাত্র ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে। মাত্র ১১ কার্যদিবসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম সাড়ে ১২ গুণের বেশি বেড়েছে।

সূচক কমলেও ডিএসইতে বুধবার লেনদেন বেড়েছে। দিন শেষে তা আগের কার্যদিবসের চেয়ে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩৬ কোটি টাকায়।

এদিকে ডিএসইর সূচকের প্রভাব পড়েছে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচকেও। সিএসইর সার্বিক সূচকটি এদিন ১২০ পয়েন্ট কমেছে। দিন শেষে চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪২ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৯৫ কোটি টাকা কম।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: