facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

ডাক্তারকে আপা বলায় পিটুনির প্রমাণ তদন্তে


০১ মার্চ ২০১৭ বুধবার, ০৭:২৮  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


ডাক্তারকে আপা বলায় পিটুনির প্রমাণ তদন্তে

আপা ডাকায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পেটানোর অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের কাছে প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি দুই এক দিনের মধ্যেই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

তদন্ত কমিটিতে বিস্তারিত কী আছে, সেটি কোনো পক্ষ না জানালেও এতে একটি জায়গায় লেখা আছে, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ঘটনাটি ‘গর্হিত কাজ বলে প্রতীয়মান হয়েছে।’

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে আপা ডাকা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে যায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এক রোগীর স্বজন ওই নারী চিকিৎসককে আপা বলে জানতে চান ফ্যানের সুইচটা কোথায়। এতে তাকে অপমান করা হয়েছে অভিযোগ তুলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা একজোট হয়ে ওই রোগীর স্বজনকে বেদম পারপিট করেন। তারা তাকে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে ধরে নিয়ে পিটুনির পাশাপাশি, কান ধরে উঠবসও করায়। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। এরপর আবার শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যায়।

এ ঘটনার পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালে ধর্মঘট করে। এরই মধ্যে মারা যান আলোচিত সেই রোগী আলাউদ্দিন। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।

গণমাধ্যমে এ প্রতিবেদক প্রকাশ হওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো উপাচার্য (প্রশাসন) শারফুদ্দিন আহমেদ ও স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড এইচএমপিচির পরিচালক এম এ রাশেদ।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি মারপিটের শিকার আব্দুর রউফ ও তার দুই বোনের সাক্ষ্য নেয় সিরাজগঞ্জ গিয়ে। একই দিন তারা বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। প্রথমে তারা সেদিন উপস্থিতি সাংবাদিকদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। পরে হাসপাতালে পরিচালক এ কে এম মাসুদ আহসান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আহসান হাবিব, উপাধ্যক্ষ রেজাউল করিম জুয়েল, চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ নেতা, পুলিশ কর্মকর্তা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আলাদাভাবে বক্তব্য নেন। যে স্থানে ঘটনা ঘটেছিল সেখানের এবং আশপাশের রোগীদের কাছ থেকেও বিস্তারিত শোনেন তারা।

এ তদন্ত শেষে বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। আজকালের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তদন্ত কমিটি গঠনের দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তদন্তে প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের ইন্টার্নশিপ বাতিল হবে। রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারকারী চিকিৎসকদের তালিকা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: