facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

ঝুঁকি যত, মুনাফা বা ক্ষতিও তত


২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার, ১০:৪৭  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


ঝুঁকি যত, মুনাফা বা ক্ষতিও তত

দেশের পুঁজিবাজারের একটি গতানুগতিক সমস্যা হচ্ছে বাজারের গভীরতা একেবারেই কম। আর বাজারের গভীরতা না থাকায় বিনিয়োগকারীরা স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারে বাধ্য হয়েই যাচ্ছে। তাই বাজারের গভীরতা অনেক বাড়াতে হবে। এজন্য ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২০০৯ সালের পর থেকে পুঁজিবাজারে খুব ভালো কোম্পানি আসেনি। গ্রামীণফোনের মতো বা ওই পর্যায়ের কোনো কোম্পানিই বাজারে আসেনি। অথচ দেশে গত কয়েক দশকে অনেক বড় বড় করপোরেট হাউজ উন্নতি করেছে, কিন্তু তাদের একটিও এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়। হাসিব হাসানের গ্রন্থনা, সম্পাদনা ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও মোহাম্মদ আলী এবং দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সিনিয়র নিউজ কনসালটেন্ট রায়হান এম চৌধুরী।

মোহাম্মদ আলী বলেন, পুঁজিবাজারে যারা টেকনিক্যাল অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেন, তাদের জন্য এ বছরটি খুব একটা ভালো যায়নি। আর এ ক্ষেত্রে অনেক কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে, বাজারের যে স্বাভাবিকতা, সেটিকে অধিকাংশ সময় অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। পাশাপাশি বাজারে যখন দীর্ঘদিন এমন অবস্থা বিরাজ করে, তখন স্বল্প মূলধনি কোনো কোম্পানিকে কেউ যদি অতিমূল্যায়িত করে তাহলে সেখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রবেশ করে। এতে বোঝা যায়, বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘদিন লাভ করতে না পেরে অধিক লাভের আশায় ওইসব শেয়ারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তবে এই লাভটি সাময়িক হলেও একটি নির্দিষ্ট সময় পরে গিয়ে দেখা যায়, এখান থেকে খুব একটি ভালো ফলাফল আসে না। তাছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য আসলেই এই বছরটি একটি চ্যালেঞ্জিং বছর গেছে। তার পরও তাদের ধৈর্যের সঙ্গে নিজেদের মৌলভিত্তির ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ কেউ যদি ৩০০-৪০০ কোটি টাকার পোর্টফোলিও পরিচালনা করে, তাহলে তার পক্ষে কোনোভাবেই ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিতে খুব বেশি বিনিয়োগ করার সুযোগ নেই। কাজেই তাদের অনেক ভেবেচিন্তেই শেয়ারে বিনিয়োগ করতে হয়। তাছাড়া পুঁজিবাজারে যত বেশি ঝুঁকি থাকে তত বেশি মুনাফা করার সম্ভাবনা থাকে, সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কাজেই ঝুঁকি যত, মুনাফা বা ক্ষতিও তত।

রায়হান এম চৌধুরী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে দেশের পুঁজিবাজারের একটি গতানুগতিক সমস্যা হচ্ছে, বাজারের গভীরতা একেবারেই কম। আর যেখানে বাজারের গভীরতা নেই, সেখানে বিনিয়োগকারীরা স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারে বাধ্য হয়েই যাচ্ছে। তাই বাজারের গভীরতা অনেক বাড়াতে হবে। এর জন্য ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২০০৯ সালের পর থেকে পুঁজিবাজারে খুব ভালো কোম্পানি সেভাবে আসেনি। গ্রামীণফোনের মতো বা ওই পর্যায়ের কোনো কোম্পানিই বাজারে আর আসেনি। অথচ দেশে গত কয়েক দশকে অনেক বড় বড় করপোরেট হাউজ উন্নতি করেছে, কিন্তু তাদের একটিও এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। পুঁজিবাজারের বাহ্যিক দৃষ্টিতে ইতিবাচক না থাকায় এসব কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। কিন্তু বর্তমানে চীনা কনসোর্টিয়াম পুঁজিবাজারে আসায় বাজারের দৃশ্য কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। তবে এটির সুফল রাতারাতি পাওয়া সম্ভব নয়, কিছুটা সময় লাগবে। কাজেই বড় কোম্পানিগুলোকে যদি বাজারে আনা যায়, তাহলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আর স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর দিকে আগ্রহী হবেন না। আর তখনই পুঁজিবাজারের প্রকৃত প্রতিফলনটি আমরা দেখতে পারব।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: