facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত


১১ এপ্রিল ২০১৭ মঙ্গলবার, ০৭:৫০  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত

কিছু সংশোধনী এনে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত এক উচ্চপর্যয়ের সভায় নীতিমালায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এ নীতিমালার আলোকে খোলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংস্থাও পাবে এ পুরস্কার। তবে মন্ত্রিসভার অনুমোদনও নিতে হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালার আওতায় খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশি নাগরিকরা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন। যে কোনো দলগত খেলায় যিনি জাতীয় দলে কমপক্ষে ৫ বছর অথবা কমপক্ষে ১০টি আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নিয়েছেন তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। এছাড়াও যে কোনো ব্যক্তিগত ইভেন্টে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যিনি কমপক্ষে একটি স্বর্ণ পদক অথবা ২টি রৌপ্য পদক অথবা ৩টি ব্রোঞ্জ পদক বা সমপর্যায়ের সম্মাননা বা পুরস্কার পেয়েছেন বা যিনি আঞ্চলিক পর্যায়ে দুইটি স্বর্ণপদক অথবা জাতীয় পর্যায়ে ৩টি স্বর্ণপদক পেয়েছেন তিনিও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। কোনো খেলোয়াড় সংশ্লিষ্ট খেলায় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে কমপক্ষে সাতবার অংশগ্রহণ ও তার অবদান যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

নীতিমালায় প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষকদের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা যাবে। এছাড়া এতে উল্লেখ করা হয়, পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতায় যেসব ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সহায়তা দিয়েছেন, শুধুমাত্র তারাই জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করবেন।

১৯৭৬ সালে ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি দিতে দেশে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার চালু করা হলেও দীর্ঘদিন তা দেওয়া বন্ধ ছিল। এ পর্যন্ত ১৯ জন ক্রিকেটারসহ ১৮৮ জনকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৩২ জনকে এ পুরস্কার তুলে দেন তিনি।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, সংগঠক হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনসমূহে যিনি কমপক্ষে ১০ বছর কর্মকর্তা অথবা সদস্য হিসেবে জাতীয় অথবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ অবদান রেখেছেন, তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। জাতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষক, আম্পায়ার, রেফারি, জুরি, জাজ হিসেবে যিনি কমপক্ষে ১০ বছর বিশেষ অবদান রেখেছেন, তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। এছাড়াও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংগঠক, কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক, আম্পায়ার, রেফারি, জুরি, জাজ হিসেবে বিশেষ অবদান অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। সরকার ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য কোনো সংস্থাকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করতে পারবে।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক হারুনুর রশীদসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ফেডারেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: