facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

জাজিরায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫


১০ জানুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার, ০৬:০৩  পিএম

এমএ ওয়াদুদ মিয়া, শরীয়তপুর

শেয়ার বিজনেস24.কম


জাজিরায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের আবদুল বেপারী কান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আবদুল বেপারী কান্দি গ্রাম এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।

এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা রতন সরদার বলেন, নিজেদের বোমার আঘাতেই হোচেন খা মারা গেছেন। নিহতদের সমর্থকরা এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।

জাজিরা থানা, স্থানীয় সূত্র এবং নিহতের চাচাত ভাই নুর হোসেন খা জানান, জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজ সরদার এবং সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সফি খলিফার মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১ বছরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা  কমপক্ষে ১০ বার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে এবং উভয় পক্ষের সমর্থকদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে শতাধিক লোকজন আহত হয়। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষের কম করে ৫০টি মামলা হয়েছে।

গত রোববার রাত ১০টার দিকে জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি দুর্বা ডাঙ্গা বাজারে সফি খলিফা এবং সিরাজ সরদারের সমর্থকদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত রাজ্জাক খলিফার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনার জের ধরে আবদুল বেপারী কান্দি গ্রামের (সিরাজ সরদার সমর্থক) বাবুল বেপারীর, মোক্তার বেপারী, জালাল বেপারী, লতিফ বেপারী, হাচেন বেপারী, হযরত আলী বেপারীসহ ২০/২৫ জন  লোকজন মঙ্গলবার সকালে (সফি খলিফা সমর্থক)  নিহত হোচেন খার বাড়িতে গিয়ে বলেন তুই সফি খলিফার সঙ্গে দল করতে পারবি না। আমাদের সঙ্গে দল করতে হবে। নচেৎ তোকে মেরে ফেলবো। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লাঠি সোটা ঢাল শুরকি রামদা ছেনদা ককটেল টেটাসহ উভয় গ্রুপের সমর্থক কমপক্ষে ৫ শতাধিক লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা ২ শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকেরা সফি খলিফার সমর্থক হোচেন খাকে লক্ষ্য করে উপর্যপরি ককটেল  নিক্ষেপ করে। এ সময় ককটেলের আঘাতে হোচেন খার (৩২) মুখমণ্ডলের ডানপাশ  উড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

সংঘর্ষ চলাকালীন সময় উভয় পক্ষের নুর হোসেন খা, নুরু মিয়া খা, জাহাঙ্গীর মাদবর, সেকান্দর ছৈয়াল বাবুল বেপারী, দিল মোহাম্মদ বেপারী ,আঃ রহমানসহ কমপক্ষে ১৫ জন গুরুতর আহত হয়। আহত সেকান্দর ছৈয়াল ও নুর হোসেন খাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। নুরু মিয়া এবং জাহাঙ্গীর মাদবরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বাকি আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত হোচেন খা গত সোমবার ঢাকা থেকে তার ভাগ্নী হামিদা বেগমের বিয়ে খেতে বাড়ি আসছিলেন। খুনের সংবাদ শোনার পর থেকে  আব্দুল বেপারী কান্দি গ্রামের  সিরাজ সরদার সমর্থকরা গা ঢাকা দিয়েছে। নিহত হোচেন খার সমর্থকরা খুনের ঘটনার জের ধরে আবদুল বেপারী কান্দি গ্রামে দিল মোহাম্ম বেপরী কান্দি গ্রমে সিরাজ সরদার সমর্থক দিল মোহাম্মদ বেপারী, ইসমাইল মাদবর, বাবুল মেম্বার, সিরাজ সরদারসহ প্রায় ৩০টি বাড়ি ঘরে হামলা করে ঘরের মালামাল ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: