১০ জুন ২০১৭ শনিবার, ১০:০৬ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় পার্শ্ববর্তী গোমস্তাপুর উপজেলার সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাজুকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী জানান, তার ভাগনিকে বিয়ে করার জন্য আট মাস আগে পারিবারিকভাবে প্রস্তাব নিয়ে আসেন গোমস্তাপুর উপজেলার সাদ্দাম হোসেন। মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ায় বিয়েতে অসম্মতি জানায় পরিবার। এরপরও বিয়ের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন সাদ্দাম। ৫ জুন বিকেলে বাড়ি থেকে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে তার ভাগনিকে অপহরণ করেন সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগিরা। মেয়েটিকে অচেতন করে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়। ওই রাতেই পুলিশের সাহায্যে মেয়েটিকে উদ্ধারের পর মামলা করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মেয়েটি পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা বলেছে। বলেছে, অচেতন অবস্থায় তাকে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়েছে। জ্ঞান ফেরার পর সাদ্দাম ওই ভিডিও চিত্র দেখিয়ে বলেছেন যে তাকে বিয়ে না করলে এটা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে।
মেয়েটির মামার অভিযোগ, ভাগনিকে ৫ জুন উদ্ধার করা হলেও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ তাকে ৭ জুন সদর হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু বিচারিক হাকিমের সামনে উপস্থিত করে জবানবন্দি নেওয়ার ব্যবস্থা করেননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার পর পাঁচ দিন পার হলেও আসামিদের গ্রেপ্তারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না পুলিশ। উল্টো আপস করে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বলেন, বিচারিক হাকিমের কাছে উপস্থিত করে ভিকটিমের জবানবন্দি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। মামলার পরদিনই মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসা কর্মকর্তা না থাকায় পরীক্ষা করানো যায়নি। এ জন্য পরের দিন আবারও পাঠানো হয়।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।