facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

ছাত্রদের চুল কেটে দিলেন শিক্ষক!


২১ মে ২০১৭ রবিবার, ০৬:০৮  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


ছাত্রদের চুল কেটে দিলেন শিক্ষক!

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় স্কুল কমিটির নির্বাচন ঘিরে এক শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার সকালে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের সাথিয়াকান্দা এলাকায় আর জে স্কুলে প্রথম ক্লাস চলার সময় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ ওঠা শিক্ষক হাবিবুর রহমান। তিনি স্কুলে বিজ্ঞান পড়ান।

স্থানীয়রা জানায়, চুল কাটার প্রতিবাদে অভিভাবক ও কমিটির লোকজনের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ত্রিশাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন কালাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। কাল ওই স্কুল পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হবে। এতে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সভাপতি নুরুল আমীন কালাম এবং মাহবুবুল আলম। নুরুল আমীন কালাম শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকের ভোট চান শনিবার। এতে শিক্ষার্থীরা রাজি হয়নি। এ নিয়ে বর্তমান সভাপতি ক্ষিপ্ত হন। সভাপতির অনুগত বলে পরিচিত স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক হাবিবুর রহমান রোববার সকালে প্রথম ঘণ্টায় ওই শিক্ষার্থীদের মাথায় কাচি দিয়ে নিজেই এলোমেলো করে চুল কেটে দেন। খবর পেয়ে অভিভাবকরা স্কুলে আসেন প্রতিবাদ জানাতে।

এ সময় উপস্থিত দৈনিক সংবাদের ভালুকা প্রতিনিধি আতাউর রহমান জানান, দুপুরে তিনি চুলকাটা মাথার ছবি তোলার সময় সাইদুল আমীন ও সাইফুল মেম্বার তার সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি সামাল দেয়।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যপ্রার্থী নাজমুল আলম খান বলেন, বর্তমান সভাপতির কথামতো ভোট চাইতে অস্বীকার করায় তার ছেলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আমিরুল মোমিন খানের মাথার চুল কাটা হয়েছে। চুল কেটেছেন হাবিবুর মাস্টার। অনেক ছেলের চুলকাটা হয়েছে।

বর্তমান সভাপতি নুরুল আমীন কালাম বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমি স্কুলে গেছি। প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থীর মাথার চুল কাটা হয়েছে। শিক্ষক হাতে শিক্ষার্থীর চুলকাটার সত্যতা পেয়েছি। শিক্ষক ছাত্রদের শাসন করেছেন, সেটা সঠিক বা বেঠিক। তবে কাজটি ঠিক হয়নি, এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। আমি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক নিয়ে বসেছি মীমাংসা করার জন্য। অভিভাবক শিক্ষার্থী না মানলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না।’

নুরুল আমীন আরো বলেন, ‘আমার ছোট ভাই সাবেক সরকারি কর্মকর্তা সাইদুল আমীন এবং এলাকার সাইফুল মেম্বার ঘটনা শুনে স্কুলে আসছিল। পথে সভাপতি প্রার্থী মাহবুবুল আলমের লোক খালেকুজ্জামান ছাতা দিয়া তাদের পিটাইছে।’ তিনি দাবি করেন, নির্বাচন নিয়ে ঘটনা ঘটেনি।

কমিটির সভাপতি প্রার্থী মাহবুবুল আলম বলেন, ৩৫ থেকে ৪০ শিক্ষার্থীর চুল কাটা হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে দাবি করেন তিনি।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির উজ্জামান বলেন, স্কুল কমিটির নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিস্তারিত পরে জানাব।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: