facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ইসলামী ব্যাংক


১২ জুলাই ২০১৭ বুধবার, ১০:৪২  এএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ইসলামী ব্যাংক

আলোচনা-সমালোচনার মাঝে পুঁজিবাজারে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ইসলামী ব্যাংক। ২০১৬ সালের হিসাববছরে আয় বাড়লেও শেয়ারহোল্ডারদের কম লভ্যাংশ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় এ ব্যাংকটি। এরপর চলতি বছরের শুরুতে গঠিত নতুন পরিচালনা পর্ষদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপলাভ করে। অতঃপর ব্যাংকটির এক পরিচালক পদত্যাগ করেন। এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও ব্যাংকটির আয় বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে কোম্পানিটির শেয়ারদর।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থান থাকে ইসলামী ব্যাংক। এদিন ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে দুই টাকা ৬০ পয়সা বা সাত দশমিক ৬৯ শতাংশ। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। চার হাজার ৫৫৪ বারে কোম্পানিটি এক কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৭০৬টি শেয়ার লেনদেন করে; যার বাজার মূল্য ৪৪ কোটি ৫৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) দেশের সরকারি-বেসরকারি অধিকাংশ ব্যাংকেরই পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। বরাবরের মতো এবারও পরিচালন মুনাফায় শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। চলতি ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক এক হাজার ৫০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। যেখানে গত বছরের প্রথমার্ধে ৮৫৩ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছিল। বছরের ব্যবধানে ১৮৪ কোটি বেশি পরিচালন মুনাফা করেছে ব্যাংকটি। অর্থাৎ ২১ শতাংশ বেড়েছে।

ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে ব্যাংকটির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংক শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এটি ছিল ৫০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এককভাবে ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৪ পয়সা। আলোচ্য সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩০ টাকা ৯৭ পয়সা। গত বছর ছিল ২৯ টাকা ৮৭ পয়সা।

আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম লভ্যাংশ দিয়েছে গত বছর। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিদায়ী বছরের তুলনায় মুনাফা কমলেও লভ্যাংশ দেওয়ার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৫ এবং ২০ শতাংশ। ২০১৫ অর্থবছরের তুলনায় গত বছর শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে শেয়ারহোল্ডারদের  লভ্যাংশ দেওয়ার পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমেছে।

জানা গেছে, দেশের বেসরকারি ব্যাংকিং খাতের শীর্ষ এই কোম্পানি ২০১৬ অর্থবছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়, যা তালিকাভুক্তির পর থেকে সর্বনিম্ন লভ্যাংশ। সর্বশেষ ২০১৫ অর্থবছরে কোম্পানিটির লভ্যাংশের হার ছিল ২০ শতাংশ নগদ। এর আগেও নগদ ও বোনাস মিলিয়ে সবসময়ই ১৫ শতাংশের ওপরে ছিল কোম্পানিটির ঘোষিত লভ্যাংশ। এ বছরের পাঁচ জানুয়ারি হঠাৎ করে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়।

মুনাফা বাড়লেও লভ্যাংশ কম দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরাস্তু খান শেয়ার বিজকে বলেছিলেন, আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে প্রতি লক্ষ্য রেখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ব্যাংকের ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির ধারা আরও গতিশীল করা, মূলধন পর্যাপ্ততা এবং আর্থিক ভিত্তি আরও সুসংহত করবে। বেশি লভ্যাংশ দিলে বেশি আয় করা সম্ভব নয়। ব্যাংকটিকে আরও সুসংহত করতেই লভ্যাংশ গত বছরের তুলনায় কম দেওয়া হয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: