১৬ জুন ২০১৭ শুক্রবার, ০৮:৫০ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
গুলশান-বনানীতে এখনো ঈদের বাজার জমে উঠেনি। অন্যান্য বার যেখানে দম ফেলানোর সময় পান না সেখানে এখনো অলস সময় কাটাচ্ছেন বলে জানান বিক্রেতারা।
শুক্রবার ছুটির দিনেও গুলশান-বনানীর অধিকাংশ দোকানে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়েনি।
গুলশান অ্যাভিনিউর পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, দু-একটি দোকানে ক্রেতা থাকলেও অধিকাংশ দোকানই ফাঁকা।
মামুন নামের এক বিক্রেতা বলেন, অন্যান্য বার ঈদের আগে এ সময় যেখানে দম ফালানোর সুযোগ পেতাম না সেখানে এখন অলস সময় পার করছি। কী কারণে এবার বাজারের এ অবস্থা তা জানাতে পারেননি তিনি।
তবে মাসুদুল আলম সুমন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, এবার বিক্রির অবস্থা খারাপ থাকলেও আশা করছি ১৮ জুনের পর তা ভালো হবে। কারণ এখনো অনেকে ঈদ বোনাস পাননি। তাছাড়া গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বাজারে লোকজন আসতে পারেননি।
গুলশান-১-এর ইয়েলো শপিংয়ের ব্যবস্থাপক ডি রোজারিও বলেন, বিক্রি একদম ভালো না। তবে গত দুদিন থেকে আজ একটু ভালো।
গুলশানের বাসিন্দা শামসুন্নাহার দুই ছেলেকে নিয়ে ঈদ বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, বাসা কাছে তাই জ্যামের মধ্যে দূরে যাওয়ার চেয়ে এ দোকানে চলে এলাম। এখানে পরিবেশও কিছুটা নিরিবিলি। নাহার নামের আরে গৃহীনি বলেন, বাজারে কী কোনো নতুন পোশাক এসেছে কি-না তা দেখতে এসেছি। এখনো ঈদের কেনাকাটা শুরু করিনি।
এদিকে বনানীতে গুলশানের চেয়েও খারাপ অবস্থা।
বনানী ১১নং রোডের আড়ংয়ের ম্যানেজার তামান্না জেরিন জানান, এবার বিক্রি একেবারেই ভালো নয়। অন্যবার বিক্রেতাদের ভিড় সামলাতে আমাদের হিমশিম খেতে হতো। আর এবার তার ধারেকাছেও নেই। যদিও অন্যান্য দোকানের চেয়ে আড়ংয়ে ক্রেতাদের ভিড় ছিল বেশি।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও অনেকের বোনাস না হওয়াও এজন্য দায়ী বলে মনে করেন তামান্না।
ইনফিলিটি শপিং মলের বনানীর ইউনিট ম্যানেজার গোলাম রব্বানী বলেন, ‘গত কয়েক দিনের চেয়ে কেনাবেচা কিছুটা ভালো। তবে তা অন্য বারের চেয়ে একেবারেই কম।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।