২৩ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার, ০৬:১০ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার ক্রেতাশূন্য গাবতলীতে অর্ধেকে নেমে গেছে গরুর দাম। হাটে ক্রেতা না থাকায় বেপারিদের কমদামে গরু বিক্রি করে দিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে চাইছেন।
বাজেট অনুযায়ী ভালো গরু না পাওয়ায় আজ গাবতলীতে এসেছিলেন মিরপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবু তালেব। তিনি বেলা ১১টার দিকে গাবতলীর হাটে আসেন। এক ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করার পর তিনি ২৬ হাজার টাকায় একটি গরু কিনতে পেরেছেন।
আবু তালেব বলেন, ‘অপেক্ষায় ছিলাম, কম দামে গরু পেলে কোরবানি দেব। কয়েকদিন গাবতলী ও পার্শবর্তী হাটে ঘুরেও বাজেটে মেলেনি। এ কারণে আজ এসেছি, অনেক দামাদামি করে ২৬ হাজার টাকায় একটি গরু পেয়েছি, তাই কিনলাম।’
দুটি বড় ছাগল ২০ হাজার টাকায় কিনেছেন মরিয়ম ও তার স্বামী ইব্রাহিম মিয়া। কোরবানির পশুর দাম কম শুনে তারা গাবতলীর হাটে এসেছিলেন। এ দম্পতি জানান, গতকাল গরু কোরবানি দিয়েছি, আজ এসেছি ছাগল কিনতে। কম দামে দুটি ছাগল পাওয়া গেছে। আজ ছাগল দুটি কোরবানি দেয়া হবে বলে তারা জানান।
গরু বিক্রির অপেক্ষায় আছেন রশীদ বেপারি। এবার ঈদে তিনি ৪৪টি গরু এনেছিলেন। তার মধ্যে এ পর্যন্ত ২০টি বিক্রি করেছেন। আজ সকালেও একটি গরু বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এবার গরু কিনে মাথায় হাত পড়েছে। ঈদের দুদিন আগে কিছুটা লাভে কয়েকটি গরু বিক্রি হলেও ২০ আগস্ট (সোমবার) দুপুরে বৃষ্টির পর থেকে গরুর দাম কমে গেছে। এরপর থেকে প্রতিটি গরু কেনা দাম থেকেও ৪-৫ হাজার টাকা কমে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আজ সকাল থেকে মাত্র একটি গরু বিক্রি হয়েছে, সেটিও কেনা দামের চাইতে পাঁচ হাজার টাকা কমে বিক্রি করেছি।’
এদিকে কোরবানি হাটের মধ্যে ময়লা-অাবর্জনা, কাদা ও পানি থাকায় ভেতরে কেউ যেতে চাচ্ছেন না। এ কারণে যেসব বেপারিরা হাটের ভেতরে গরু নিয়ে বসে আছেন, তারা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব ব্যাপারিদের অনেককেই গরু নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
গাবতলী হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এ বছর বেপারি ও হাট কর্তৃপক্ষ আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সকলের মাথায় হাত দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।