০৪ মার্চ ২০১৭ শনিবার, ০৪:৫১ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি সেই শিক্ষায়তনের আচার্য হিসেবে সমাবর্তন পরিচালনার অভিজ্ঞতা নিজের স্বভাব-সুলভ হাস্যরসে ডিগ্রিপ্রাপ্তদের শোনালেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তনের সময় দেড়-দুইঘণ্টা ক্যাপ-গাউন পড়ে থাকতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গরম যখন থাকে তখন অবস্থা কাহিল।’
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ৫০তম সমাবর্তনে লিখিত বক্তব্যের বাইরে গিয়ে কথা বলেন পদাধিকারবলে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, আমি লিখিত বক্তব্যের বাইরে কিছু বলতে চাই (পুরো সমাবর্তনস্থলে হর্ষধ্বনি)। নিজের কাছেই অবাক লাগে, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। আমি ম্যাট্রিক থার্ড ডিভিশন। আইএ পাশ করছি এক সাবজেক্ট... লজিকে রেফার্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আসলাম ভর্তি হওয়ার জন্য...তখন ভর্তি তো দূরের কথা, ভর্তির ফরমটাও আমাকে দেয় নাই। বন্ধু-বান্ধব অনেকে ভর্তি হইলো, ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে তখন আমি যুক্ত। ভর্তি যখন হইতে পারলাম না, তখন দয়ালগুরুর কৃপায় গুরুদয়াল কলেজে (কিশোরগঞ্জে) ভর্তির সুযোগ পেয়ে গেলাম (সমাবর্তনস্থলে হাসির রোল পড়ে)।
আবদুল হামিদ বলেন, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ করতাম। প্রায়ই ঢাকা আসতে হত। বিভিন্ন হলে থাকতাম। এমন কোনো হল নাই তখনকার সময়ে যেখানে ঢুকি নাই। অবশ্য রোকেয়া হলে ঢুকি নাই (আবারও হাসির রোল)। তবে রোকেয়া হলের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিলাম। বন্ধু-বান্ধব যারা পড়তো তারা কনভোকেশন ক্যাপ-গাউন পরত। আমাদের কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। তবে সমাবর্তনে আমাদের ডাকা হত না। যারা অনার্স-মাস্টার্সে ছিল, তাদের ডাকা হতো। কনভোকেশনে ক্যাপ-গাউন পরার খায়েস ছিল।
তিনি বলেন, কিন্তু আল্লাহর কী লীলা খেলা বুঝলাম না, যেই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হইতে পারলাম না, সেইখানে আমি চ্যান্সেলার হইয়া আসছি। বাংলাদেশে যতগুলি পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সবগুলির আমি চ্যান্সেলর। প্রায়ই সমাবর্তনে যেতে হয়। দেড়-দুইঘণ্টা ক্যাপ-গাউন পরে থাকতে হয়। আর এর মধ্যে বাতাসই ঢুকতে পারে না। গরম যখন থাকে তখন অবস্থা কাহিল।
এসময় উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে শীতের সময় সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।